ঝড়ের বেগে ছুটতে গিয়ে হোঁচট খেল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। যাত্রা শুরুর একদিনের মধ্যেই যান্ত্রিক গোলযোগের শিকার হতে হল দেশের দ্রুতগামী ট্রেনকে। শনিবার সকালে বারাণসী থেকে নয়া দিল্লি ফেরার পথে যান্ত্রিক গোলযোগের জেরে থমকে গেল ট্রেন ১৮-র চাকা। শনিবার ভোরের দিকে এ ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের তুন্দলা জংশন থেকে ১৫ কিমি দূরে।
কী ঘটেছিল? ট্রেন ১৮-র শেষের কামরাগুলিতে শব্দ হচ্ছিল। কিছু সময়ের জন্য ট্রেনের গতিবেগও কমানো হয়েছিল। ধোঁয়া দেখা গিয়েছিল, সেইসঙ্গে ট্রেনের শেষের ৪টি কামরায় জ্বালানির গন্ধ পাওয়া গিয়েছিল। ট্রেনের সব কামরা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। ঘণ্টায় ১০ কিমি বেগে ট্রেনটি ফের চলতে শুরু করে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে গোলযোগ নিয়ে রেলের শীর্ষ আধিকারিকরা ফোনে বলছিলেন, ট্রেনের পার্কিং ব্রেকে কোনও সমস্যা হয়েছে। ‘চার্জিং ফেলিওর’ হয়েছে বলে জানান তাঁরা। শেষমেশ গোলযোগ কাটিয়ে রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের পরামর্শ মেনে ঘণ্টায় ৪০ কিমি বেগে ট্রেনটি দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।
ট্রেনের যান্ত্রিক গোলযোগ নিয়ে উত্তর রেলের প্রিন্সিপাল চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়রের পরামর্শ নেন ট্রেনের ইঞ্জিনিয়ররা। এদিকে এ ঘটনার জেরে রবিবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের প্রথম বাণিজ্যক যাত্রা এখন অনিশ্চয়তার মুখে দাঁড়িয়ে। রবিবার বাণিজ্যিক যাত্রার জন্যই ট্রেনটিকে বারাণসী থেকে দিল্লিতে আনা হচ্ছিল এদিন।
আরও পড়ুন, ঘণ্টায় ১৮০ কিমি গতিতে যাত্রা শুরু বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের
উল্লেখ্য, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে ট্রেন ১৮-এর শুভ সূচনা হয়। পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার জেরে কোনও আড়ম্বর ছাড়াই গতকাল যাত্রা শুরু করে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। দেশের প্রথম দ্রুতগামী ট্রেনের যাত্রা শুরু উপলক্ষে কোনও সেলিব্রেশনের পথে হাঁটেনি মোদী সরকার। কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার ঘটনায় সিআরপিএফ জওয়ানদের মৃত্যুর ঘটনার জন্য ফুলের সাজে সাজানোও হয়নি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে।
এদিকে, দেশের এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে ট্রেনের যাত্রার সূচনা করতে পারলেন মোদী? এ নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। যদিও রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান ভি কে যাদব ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘‘ট্রেনের যাত্রা শুরুর অনুষ্ঠান করে এটাই বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, দেশের উন্নয়নের পথকে রুখতে পারবে না সন্ত্রাস।’’ সন্ত্রাসবাদের কাছে দেশবাসী ও সেনাবাহিনী যে মাথা নত করেননি, ট্রেন উদ্বোধন করে সে বার্তাই এদিন দেওয়া হল বলে মনে করছেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল।
Read the full story in English