বিরাট প্রশ্নের মুখে যাত্রী সুরক্ষা। ভাগলপুর-জয়নগর ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের কোচে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ। ঘটনায় এক মহিলা সহ চার যাত্রী আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণের ঘটনার পরে, আরপিএফ এবং জিআরপির পুরো বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে। এ ঘটনায় দুই থেকে তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেই জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে।
সমস্তিপুর জংশনে আউটার সিগন্যালের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনের সাধারণ কামরায় আচমকা বিকট বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের ঘটনায় এক মহিলা সহ বেশ কয়েকজনের আহত হওয়ার খবর মিলেছে। সমস্তিপুর জংশনের ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনটি ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রকট বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ট্রেনের সাধারণ কামরা। ধোঁয়ায় পুরো বগি ঢেকে যায়। যাত্রীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
বিস্ফোরণের খবরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে। বিস্ফোরণের পরে, আরপিএফ এবং জিআরপি পুরো বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে। ট্রেনের বগিতে বিস্ফোরণের পিছনে কী কারণ তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই বিস্ফোরণে আহত মহিলার নাম রানী দেবী। তিনি বলেছেন 'হঠাৎ ট্রেনে একটি বিকট শব্দ হয় এবং তারপরে আগুন জ্বলতে শুরু করে’।
এই ঘটনার পরে, আরপিএফ-এর সমস্তিপুর রেলওয়ে ডিভিশনের কমান্ড্যান্ট এবং অন্যান্য আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে হাজির হন। তবে পুরো বিষয়টি নিয়ে রেলের আধিকারিকরা কিছু বিবৃতি দেননি। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এ ঘটনায় দুই থেকে তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। উৎসবের মরসুমে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাড়ানো হচ্ছে নিরাপত্তা। কীভাবে ট্রেনের ভিতরে বিস্ফোরক এল তার কোন সদুত্তর মেলেনি।
আহতদের রেলওয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেছে রেলওয়ে পুলিশ। এই বিষয়ে দারভাঙ্গা জিআরপি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই সন্দেহভাজনকে আটক করেছে। ঘটনার বিষয়ে রেলওয়ের ডিএসপি নবীন কুমার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন এবং বলেছেন যে এই ঘটনায় দরভাঙ্গা থেকে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় মহিলাসহ তিন যাত্রী আহত হয়েছেন। ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তে গঠন করা হয়েছে বিশেষ টিম।