CJI DY Chandrachud: ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এক বিবৃতিতে বলেছেন, 'জনগণের সুবিধার্থে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মাধ্যমে আদালতের নির্দেশ আজ আঞ্চলিক ভাষায় অনুবাদ করা হচ্ছে'।
দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, 'চিকিৎসা ও আইন পেশা উভয়েরই লক্ষ্য একই। উভয়ের উদ্দেশ্য নিবেদিত পরিষেবার মাধ্যমে মানুষ এবং সম্প্রদায়ের মঙ্গল উন্নত করা। একই সময়ে, আদালতে মামলার সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে, সিজেআই বলেছেন যে এর জন্য লোক আদালতের মতো অনেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে'।
দেশের বিচারাধীন মামলা মোকাবিলায় আদালতের পরিকাঠমো আরও জোরদার করার উপর জোর দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, 'আদালতে মামলার সংখ্যা কমাতে লোক আদালতের মতো বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করা হচ্ছে। মানুষের সুবিধার্থে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) মতো আধুনিক প্রযুক্তি আদালতের সিদ্ধান্তকে আঞ্চলিক ভাষায় অনুবাদ করতে ব্যবহার করা হচ্ছে। হাসপাতালের মতো আদালতের ওপরও মানুষের আস্থা রয়েছে, যার ফলস্বরূপ মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে'।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের দিকে তাকালে দেখা যায় রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। একইভাবে আদালতে মামলার সংখ্যাও বাড়ছে। এর পেছনের কারণ কী? হাসপাতালের প্রতি মানুষের আস্থা আছে, তাই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আদালতের প্রতি মানুষের বিশ্বাস আছে, তাই মামলার সংখ্যা বাড়ছে। এ জন্য আমাদের পরিকাঠামো বাড়াতে হবে।
আরও পড়ুন - < Video Recording: নামী কফি শপের লেডিস টয়লেটে লুকানো মোবাইল, অন রেকর্ডিং, মহিলা নিরাপত্তায় বড়সড় প্রশ্ন! >
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সিজিআই বলেন, "আদালতের মামলার সংখ্যা বেড়েছে কারণ মানুষের আস্থা বেড়েছে। আমাদের পরিকাঠামো বাড়াতে হবে এবং নতুন উপায় অবলম্বন করতে হবে। সম্প্রতি, আমরা লোক আদালত ব্যবস্থা চালু করেছি।" প্রধান বিচারপতি বলেন, "এ বছর ৬ সপ্তাহের গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে সুপ্রিম কোর্টের ২১টি বেঞ্চ কাজ করছিল। এই সময়ে আমরা ৪ হাজার মামলার শুনানি করেছি এবং ১১৭০টি মামলা নিষ্পত্তি করেছি।"
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এআইয়ের অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, আদালতের কার্যক্রম বোঝা গুরুত্বপূর্ণ এবং তাই তিনি সেই লক্ষ্যে জোর দিচ্ছেন যাতে লোকেরা তাদের মামলা সম্পর্কে ধারণা পায়। তিনি বলেন, "আমরা ১৯৫০ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের রায়গুলি অনুবাদ করতে AI ব্যবহার করছি। এখন পর্যন্ত আমরা ৩৭হাজার মামলা অনুবাদ করেছি। এর মধ্যে এর মধ্যে ২২ হাজার কেস পাঞ্জাবীতে অনুবাদ করা হয়েছে, আর ৩৬ হাজার মামলা হিন্দিতে অনুবাদ করা হয়েছে।