মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়ার পর দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার একটা বড় অংশের সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। বুধবার ধর্মতলা ও বাবুঘাট থেকে উস্তি, রায়দীঘি, পাথর, নামখানা, কুলপি, ডায়মন্ড হারবার-সহ নানা এলাকার বাস পথে নামেনি। ঘুরপথে বাস চালানোর ফলে খরচ বৃদ্ধি ও আয় না হওয়ার আশঙ্কায় বাস নামেনি বলে স্বীকার করে নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সাধারন সম্পাদক তপন বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। তবে বেহালা সংলগ্ন অঞ্চলে যাত্রী সাধারণের সুবিধার জন্য় এদিন বাড়তি বাস চালিয়েছে পরিবহণ দফতর। আবার অটোচালকরা এদিন যেমন খুশি বেশি ভাড়া নিয়েছেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: এরপর শহরের কোন সেতু? এখনও দায় অস্বীকার মন্ত্রীর
দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি, পাথর বাজার, কাকদ্বীপ, ডায়মন্ড হারবার, এই সব দিকে কলকাতা থেকে সারা দিন ধরেই দফায় দফায় বেসরকারি বাস চলাচল করে। মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার পর সড়কপথে ওই অংশের সঙ্গে কলকাতায় যোগাযোগ সঙ্কটে পড়ে গিয়েছে। বাসগুলোকে হাইড রোড দিয়ে ঘুরে খিদিরপুর হয়ে অথবা নিউ আলিপুর, করুণাময়ী হয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। তপনবাবু জানান, একে তো ডিজেলের দাম ৭৫ টাকা ছুঁয়েছে। তার ওপর এই ভাবে ঘুরপথে যাত্রী কম উঠবে। ভাড়াও কেউ বেশি দেবে না। ট্রিপ কম হবে। এক কথায় বাস মালিকদের লোকসানের বহর অনেক বেড়ে যাবে। তাই এদিন থেকেই ওই রুটগুলোতে বাস কম নেমেছে। আগামী ছমাসেও কি অবস্থা দাঁড়াবে বলা মুশকিল।
এদিকে বেহালা সংলগ্ন অঞ্চলে যাত্রীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য় বিশেষ ব্য়বস্থা নিয়েছে পরিবহন দফতর। বেশ কিছু বাসের রুট ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারাতলা থেকে বজবজ পাঁচটি বাস, তারাতলা থেকে টালিগঞ্জ দুটি বাস সকাল থেকে চলেছে। এছাড়া টালিগঞ্জ মেট্রো থেকে বেহালা, বেহালা চৌরাস্তা থেকে দোস্তিপুর, বেহালা থেকে ডায়মন্ডহারবার, নিউআলিপুর স্টেশন থেকে চৌরাস্তা, এই সব রুটে তিনটে করে বাড়িত বাস দিয়েছে পরিবহণ দফতর। এছাড়া ধর্মতলা থেকে ডায়মন্ড হারবার পর্যন্ত বাড়তি বাসেরও ব্য়বস্থা করা হয়েছে।