কেরালার শবরীমালা মন্দিরে সব বয়সের মহিলাদের প্রবেশানুমতির সুপ্রিম রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একের পর এক আবেদন জমা পড়ছিল শীর্ষ আদালতে। পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী বুধবার শীর্ষ আদালত প্রায় ৫৬টি পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানি শুরু করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শুনানি চলাকালীন মন্দির পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ত্রাভাঙ্কোর দেবস্বম বোর্ড ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে জানাল, সুপ্রিম কোর্টের রায়কেই সম্মান জানাবে তাঁরা।
আরও পড়ুন, ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্রেফতার করা যাবে না অধ্যাপক তেলতুম্বড়েকে
মন্দিরে প্রবেশ করা কয়েকজন মহিলার প্রতিনিধিত্ব করা আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং বলেছেন "অস্পৃশ্যতা শব্দটি ইংরেজি শব্দে আগে ছিলই না, প্রথম ব্যবহৃত হয়েছে উনিশ শতকের শেষার্ধে। যুক্তরাজ্যে অস্পৃশ্যতার ধারণা ছিল না, ভারতবর্ষের এই প্রথা থেকেই ব্রিটেনের ভাষায় এর চল হয়"। এই কথা শোনার পর, সুপ্রিম রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন গ্রহণ করা হবে কি না, সেই বিষয়ে স্পষ্ট কিছুই জানাল না শীর্ষ আদালত।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতি নিয়ে গঠিত বিশেষ বেঞ্চ রায় দেয়, কেরালার শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন সব বয়সের মহিলারা। ঐতিহাসিক এই রায় নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল রায়ের পর থেকেই। আয়াপ্পা ডিভোটিজ অ্যাসোসিয়েশন-এর পাশাপাশি নাইয়ার সোসাইটি এবং দিল্লির চেতনা কনশিয়েন্স অব উইমেন-এর পক্ষ থেকেও রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়। তাদের মতে, শীর্ষ আদালতের রায় “অসমর্থনযোগ্য এবং বিরক্তিকর”।
সুপ্রিম রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানির দায়িত্বে ছিলেন মুখ্য বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি আর এফ নারিম্যান, বিচারপতি এএম খানউইলকর, বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা এবং বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম রায়কে সম্বল করে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে হাজারো বিক্ষোভ-অশান্তির মধ্যেই আয়াপ্পা দর্শন করেছিলেন কনকদুর্গা এবং বিন্দু। তারপর থেকেই বিক্ষোভকারীদের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে ওঁদের। কনকদুর্গার স্বামী তাঁকে বাড়িতে ঢুকতেই দেননি এতদিন। অবশেষে মঙ্গলবার কেরালার মল্লপুরমের গ্রামীণ আদালতের হস্তক্ষেপে বাড়ি ফেরা সুনিশ্চিত হয় কনকদুর্গার।