সমুদ্র উত্তাল হবে বলে পূর্বাভাস ছিলই। মৎস্যজীবীরা যেন গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে না যান, সে ব্যাপারে আবহাওয়া দফতরের নিষেধাজ্ঞাও ছিল। কিন্তু তা না মেনে খেসারত দিতে হল কাকদ্বীপের কিছু মৎস্যজীবীদের।
সোমবার গভীর রাতে কাকদ্বীপ থেকে কন্যামাতা নামের ট্রলারে চড়ে ১৬ জনের মৎসজীবীর একটি দল বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যান। কেঁদো দ্বীপের কাছে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে ট্রলারটি উল্টে যায়।নিকটবর্তী অন্য একটি ট্রলারের মৎস্যজীবীরা ৬ জনকে উদ্ধার করলেও বাকি ১০ জনের এখনও পর্যন্ত খোঁজ পাওয়া যায়নি। পাথরপ্রতিমা উপকূল থানা থেকে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা তাঁদের উদ্ধারের জন্য কাজে নেমেছেন।
সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী মালিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মাছের প্রজনন বাঁচাতে এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে নদী খালে বিলে মাছ ধরা নিষিদ্ধ।প্রশাসনিক এই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ট্রলারটি গোপনে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে চলে গিয়েছিল।
পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে জেলা প্রশাসন। উৎকণ্ঠায় রয়েছেন নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের পরিবার।