Advertisment

Brain tumour: দিল্লিতে বিনা অস্ত্রোপচারে ব্রেন টিউমার চিকিৎসার ব্যবস্থা, যুগান্তকারী পদক্ষেপে আধঘণ্টায় সাফল্য

Brain tumour: এই মেশিনের সাহায্য নিতে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করারও প্রয়োজন পড়ে না। খরচ অবশ্য অস্ত্রোপচারের মতই। তবে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগীর একবার চিকিৎসাই যথেষ্ট হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
brain tumour, Indraprastha Apollo Hospital, ZAP-X

Brain tumour-Indraprastha Apollo Hospital-ZAP-X: এই মেশিনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হয় না। অ্যানেস্থেশিয়া করার প্রয়োজন হয় না। রোগীর সুচিকিৎসা হয়ে থাকে। অস্ত্রোপচারের পরে রোগীকে পুনরায় স্বাভাবিক জীবনে ফেরানোর চেষ্টার প্রয়োজন পড়ে না। (ছবি-অনন্যা দত্ত)

Treat brain tumour in 30 minutes: বিনা অস্ত্রোপচারে মাত্র আধঘণ্টায় ব্রেন টিউমারের দুর্দান্ত চিকিৎসা। এবার এই সুবিধা মিলবে ভারতেও। আর, সেই সুযোগ এনে দিয়েছে দিল্লির ইন্দ্রপস্থের অ্যাপোলো হাসপাতাল। যা ব্রেন টিউমার চিকিৎসায় বিরাট অগ্রগতি ঘটিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় এই হাসপাতালেই প্রথম ZAP-X রেডিওসার্জারি মেশিন বসানো হল। এই মেশিন মস্তিষ্কের টিউমার ধ্বংসের জন্য অবিকল বিকিরণ সরবরাহ করতে পারে।

Advertisment

মাত্র আধঘণ্টার জন্য ইগলুর মত দেখতে এই মেশিনের মধ্যে ঘুমোলে রোগীর মস্তিষ্কের টিউমার নিরাময়ের দিকে যেতে পারে। এই মেশিন শরীরের ওপর কোনও চাপ তৈরি করে না। শরীরে কোনও ব্যথা দেয় না। এই মেশিন এমআরআই মেশিনের মত ব্যবহার হয়। এই মেশিনের সাহায্য নিতে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করারও প্রয়োজন পড়ে না। খরচ অবশ্য অস্ত্রোপচারের মতই। তবে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগীর একবার চিকিৎসাই যথেষ্ট হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

উচ্চ-তীব্রতাসম্পন্ন এই যন্ত্র নির্ভুলভাবে নির্দিষ্ট স্থানে রেডিয়েশন দিতে সক্ষম। যার ফলে আশপাশের টিস্যুর কোনও ক্ষতি হয় না। এই রেডিয়েশন টিউমারকে মেরে ফেলে। যা পরে প্রাকৃতিকভাবে শরীরে মিশে যায়। এই মেশিনের স্রষ্টা ডা. জন অ্যাডলার। তিনি জ্যাপ সার্জিকালের সিইও। অ্যাডলার বলেছেন, 'রেডিওসার্জারি হল সেই কমন পদ্ধতি, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউরোসার্জনরা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেন। তবে, বিশ্বব্যাপী ১০ জনের মধ্যে একজনেরও কম রোগী তার সুবিধা পান। ফলে চিকিৎসায় বিশাল ফাঁক থেকে যায়। বাকি বিশ্বের কথা মাথায় রেখে তাই এই মেশিনটি তৈরি করা হয়েছে। ভারতে এই থেরাপি থেকে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ উপকৃত হতে পারেন।'

এই মেশিনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হয় না। অ্যানেস্থেশিয়া করার প্রয়োজন হয় না। রোগীর সুচিকিৎসা হয়ে থাকে। অস্ত্রোপচারের পরে রোগীকে পুনরায় স্বাভাবিক জীবনে ফেরানোর চেষ্টার প্রয়োজন পড়ে না। বহিরাগত-রোগীর চিকিৎসার জন্য শুধুমাত্র আধঘণ্টা থেকে সর্বোচ্চ এক ঘণ্টা ব্যয় হয়। টিউমার ছোট থাকলে একটি সেশনই যথেষ্ট হয়। বড় বা মস্তিষ্কের অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশের কাছাকাছি হলে রেডিয়েশন দেওয়ার জন্য একাধিক দিন লাগতে পারে।

আরও পড়ুন- পিছনে বড় রহস্য! লোকসভা ভোট ঘোষণার আগেই নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ

তবে, এই চিকিৎসা সব ধরণের টিউমারের জন্য নয়। বিশাল টিউমার বা যেগুলোর মেটাস্ট্যাসিস হয়েছে, সেগুলোর জন্য এই নতুন মেশিন ব্যবহারের সম্ভাবনা কম। কম আয়তনের টিউমারের ক্ষেত্রে এই মেশিন কেবল ব্যবহার করা যেতে পারে। পাশাপাশি, মস্তিষ্কের গভীরে, গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোর কাছাকাছি, ঘটনাক্রমে (অন্যান্য সমস্যার জন্য স্ক্যান করার সময় ছোট টিউমার শনাক্ত হওয়া) রোগীদের জন্য অস্ত্রোপচারের বদলে এই মেশিন দারুণ কার্যকর হবে বলেই চিকিৎসকদের বিশ্বাস।

health patients with Symtomps Hospitalisation
Advertisment