শনিবার সন্ধ্যায় আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চল আরেকটি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল। যার প্রভাব পড়ল দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী এলাকা-সহ উত্তর ভারতে। তবে, আগের ঘটনার মতো কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ৫.৮ মাত্রার ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানের জুর্ম এলাকা। একই জায়গায় গত ২১ মার্চ ৬.৬ মাত্রার ভূমিকম্পের জন্ম হয়েছিল। যা উত্তর ভারতের বেশিরভাগ অংশে বেশ শক্তিশালীভাবে অনুভূত হয়েছিল। ঠিক আগের বারের মতো, শনিবারের ভূমিকম্পটিও পৃথিবীর পৃষ্ঠের গভীরে উৎপন্ন হয়েছিল, যার ফলে ভারতের মতো দূরবর্তী স্থানে ক্ষতি সেভাবে অনুভূত হয়নি।
ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)-এর ওয়েবসাইট অনুসারে শনিবারের ভূমিকম্পটি পৃথিবীর পৃষ্ঠের ২০০ কিলোমিটারেরও বেশি গভীরে উৎপন্ন হয়েছে। ২১ মার্চের ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছিল ভূপৃষ্ঠের ১৮৭ কিলোমিটার নীচে। গভীর ভূমিকম্প, যদি সেগুলি যথেষ্ট শক্তিশালী হয়, তবে খুব বড় দূরত্বে অনুভূত হতে পারে। কারণ কম্পনগুলো উৎপত্তিস্থল থেকে তেজস্ক্রিয়ভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এটি ভূপৃষ্ঠে পৌঁছনোর জন্য বৃহত্তর দূরত্ব অতিক্রম করে, রেডিয়াল স্প্রেডও অনেক বড় হয়ে যায়। আফগানিস্তানের জুর্ম এলাকা দিল্লি থেকে ১,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে। তবে, গভীর ভূমিকম্প হলেও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ, এক্ষেত্রে কম্পন ভূপৃষ্ঠে আসতে শক্তির অনেকটা অংশ ক্ষয় করে।
আরও পড়ুন- আর্মস্ট্রংয়ের জন্মদিনেই বিরাট সাফল্য ইসরোর! দেখুন কোথায় পৌঁছে গেল চন্দ্রযান ৩
জুর্ম এলাকা যে জায়গায়, সেটা হল উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তান। যা তাজিকিস্তান এবং পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে। এটি একটি ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা। এখানে নিয়মিতভাবে ৬ বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়ে থাকে। তেমনই শনিবার এই এলাকায় ৪ এবং তার বেশি মাত্রার পাঁচটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। যেহুতু এই ভূমিকম্পগুলো পৃথিবীর পৃষ্ঠের গভীরে উৎপন্ন হয়েছে, তাই এর কম্পন উত্তর ভারতেও অনুভূত হয়েছে। আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতিও নেহাত কম হয় না। অতীতে ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির উদাহরণ আফগানিস্তানে আছে। আর, দিল্লিও ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। শুধু দিল্লিই নয়। উত্তর ভারতের এক বিস্তীর্ণ অঞ্চল ভূমিকম্প-প্রবণ এলাকার মধ্যে পড়ে।