১৭ তম লোকসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হলো সোমবার থেকে। শোনা যাচ্ছে এই বাজেট অধিবেশনে সম্ভাব্য আলোচ্য বিষয়গুলির মধ্যে অন্যতম 'তিন তালাক বিল'। 'ভারতীয় মুসলিম মহিলা আন্দোলন' মঞ্চের সহ প্রতিষ্ঠাতা নুরজাহান সাফিয়া নিয়াজের সঙ্গে কথা বলল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দু বছর হয়ে গেছে ভারতের শীর্ষ আদালত তাৎক্ষণিক তিন তালাককে বেআইনি ঘোষণা করেছে। সরকার একটি বিল এনেছেন যেখানে তাৎক্ষণিক তিন তালাককে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, বাস্তবে পরিস্থিতি কতটা বদলেছে?
সুপ্রিম কোর্টের রায় বেরোনোর সাথে সাথেই এবং অর্ডিন্যান্স জারি হওয়ার পর স্বামীর বিরুদ্ধে তিন তালাকের অভিযোগ নিয়ে আসা মহিলার সংখ্যা কিন্তু অনেক কমেছে। আরেকটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বদল এসেছে। মুসলিম পুরুষরা আসছেন আমাদের কেন্দ্রে, তাঁরা বলছেন তাদের স্ত্রীদের সাথে তাদের সমস্যা হচ্ছে, কিন্তু তাঁরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চান। কোথাও একটা মুসলিম পুরুষদের মধ্যে কাজ করতে শুরু করেছে যে পরিস্থিতি বদলেছে। আরও একটা ব্যাপার দেখেছি, যে কাজি দাম্পত্য সমস্যার সমাধানের জন্য আরও বেশি দম্পতিদের আমাদের কাছে পাঠাচ্ছেন"।
কেন্দ্রীয় সরকার খুব শিগগির আনতে চলেছে 'মুসলমান মহিলা নিরাপত্তার অধিকার এবং বিবাহ আইন ২০১৯'। আপনি এই বিলের সমস্ত শব্দ নিয়ে সন্তুষ্ট?
বিএমএমএ প্রথম থেকেই এই বিল কে স্বাগত জানিয়েছিল, সঙ্গে অর্ডিন্যান্সকেও। এখনও স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা এখনো স্বাগত জানাচ্ছি হয়তো বিলটি নিখুঁত নয়, কিন্তু সরকারের প্রথম পদক্ষেপ কে স্বাগত জানাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি ভবিষ্যতে সংশোধনের জায়গা থাকবে এবং আরো শক্তিশালী কিছু পরিবর্তন ভবিষ্যতে নিয়ে আসা সম্ভব হবে।
মূলত কি কি বিষয়ের উপর জোর দিচ্ছেন আপনারা?
আমরা দেখছি যেন নতুন বিলে কোরানের আদর্শ এবং সাংবিধানিক আদর্শ দুইই বজায় থাকে। আমরা মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করছি বিবাহবিচ্ছেদ ক্ষেত্রে দু'পক্ষের মধ্যে আলোচনা হওয়া জরুরি। শীর্ষ আদালতের রায়ের পরেও আমরা দেখেছি স্বামী তালাক দিচ্ছেন এবং তিন মাসের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে তালাক-ই-এহসান মেনে চলা হোক। যে সমস্ত কাজী তাৎক্ষনিক তিন তালাককে সমর্থন করছেন, তাঁদের শাস্তি দাবি করছি আমরা।
Read the full story in English