Advertisment

ফোনে তিন তালাক না মানতে চাওয়ায় বধূহত্যার অভিযোগ, পুলিশ বলছে পণের জন্য খুন

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে সাঈদার বাবা বলেন, তাঁদের মেয়েকে তার স্বামী ও শ্বশুর শাশুড়ি রোজ মারধর করত। গত ৬ অগাস্ট নাফিস সঈদাকে ফোনে তিন তালাক দেয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Triple Talaq

তাৎক্ষণিক তিন তালাক শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ধর্তব্য এখন। (অলংকরণ- শুভজিত দে)

ফোনে তিন তালাক দেওয়া হয়েছিল। সে তালাক মানতে না চাওয়ায় পিটিয়ে খুন করে মৃতদেহে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ ২২ বছরের মৃত তরুণীর বাবা-মায়ের। উত্তর প্রদেশের এ ঘটনার কথা জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই। পুলিশ অবশ্য একে পণের জন্য হত্যা বলে দাবি করেছে। কিন্তু সে কথা মানতে চাইছেন না তরুণীর পরিবারের সদস্যরা।

Advertisment

পুলিশ সুপার আশিস শ্রীবাস্তবের কথা অনুযায়ী এ ঘটনা ঘটেছে ইন্দো-নেপাল সীমান্তে গদরা গ্রামে। একই গ্রামের বাসিন্দা সঈদা এবং নাফিসের বিয়ে হয় ৬ বছর আগে। নাফিস মুম্বইয়ে কাজ করেন। এই দম্পতির দুটি সন্তানও রয়েছে।

আরও পড়ুন, উন্নাও ধর্ষিতার গাড়ি দুর্ঘটনার মামলায় আরও দু সপ্তাহ সময় সিবিআই-কে

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে সাঈদার বাবা বলেন, তাঁদের মেয়েকে তার স্বামী ও শ্বশুর শাশুড়ি রোজ মারধর করত। গত ৬ অগাস্ট নাফিস সঈদাকে ফোনে তিন তালাক দেয়।

Advertisment

নাফিস ঈদের পর বাড়ি ফিরলে সঈদার পরিবারের তরফ থেকে পুলিশের কাছে যাওয়া হয় বিষয়টি মিটমাট করিয়ে নেওয়ার জন্য। শুক্রবার দু তরফেই সমঝোতায় পৌঁছনোর পর নাফিস সঈদাকে বাড়ি নিয়ে যায়।

সঈদার বাবার অভিযোগ, শ্বশুর শাশুড়ি তাঁর মেয়েকে মেরে তার মৃতদেহে আগুন লাগিয়ে দেয়। এ ঘটনা ঘটে সঈদা-নাফিসের ৬ বছরের মেয়ের সামনে, এমনটাই অভিযোগ তাঁর।

পুলিশ অবশ্য এ ব্যাপারে মিটমাট নিয়ে তাদের কোনও রকম অংশগ্রহণের কথা অস্বীকার করেছে। তাদের বক্তব্য এটি পণজনিত হত্যা।

পুলিশ সুপার শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন আটজনের বিরুদ্ধে পণের জন্য হত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে। মৃতার স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। শ্রীবাস্তব বলেছেন, "তালাকের বিষয়টি এখনও উঠে আসেনি। যদি তেমনটা হয়, তাহলে সেইরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

তাৎক্ষণিক তিন তালাক শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ধর্তব্য এখন। এ সম্পর্কিত আইন গতমাসেই লোকসভায় পাশ হয়েছে।

Read the Full Story in English

Advertisment