উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রথম স্পেশাল ইকোনমিক জোন হচ্ছে ত্রিপুরার সাব্রুমে। মিলেছে কেন্দ্রীয় ছাড়পত্র। শুক্রবার ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।
শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের ডায়রেক্টরেটের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জুন মাসে দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুমে সেজ তৈরির অনুমতি চেয়ে কেন্দ্রের কাছে ত্রিপুরা সরকারের তরফে একটি আবেদন জমা পরে। তার ভিত্তিতেই এই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের এক আধিকারিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, সেপ্টেম্বরে এই সেজ তৈরির জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।্রি ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন নিগমের তরফে বলা হয়েছে, ১৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে তারা এই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন করবে। আশা করা হচ্ছে প্রায় ১,৫৫০ কোটি টাকার বিনিয়োগ হতে পারে।
আরও পড়ুন: ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সাতটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সাক্ষরিত
এর আগে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে মুখ্যমমন্ত্রী দেব জানিয়েছিলেন, “সাব্রুমে সেজ তৈরির পেছনে সঙ্গত কারণ রয়েছে। ভারতীয় রেলের গুদাম রয়েছে এখানে, ফেনি নদির ওপর ভারত-বাংলাদেশ সেতু তৈরির কাজ চলছে, যা ২০২০ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। আন্তর্জাতিক চেক পোস্ট তৈরিরও পরিকল্পনা রয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সাব্রুমের দূরত্ব মাত্র ৬০ কিলোমিটার। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হওয়ার জন্য যা যা হওয়া দরকার, সবই এখানে রয়েছে”।
আরও পড়ুন: পুজোয় জনসংযোগে জোর তৃণমূল নেতা, মন্ত্রীদের
২০১৮ সালের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি যে সমস্ত কর্মসূচী সামনে রেখে প্রচার করেছিল, সেজ ছিল তার মধ্যে অন্যতম। নিয়ম মেনে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে গেলে ন্যূনতম ২৫ একর জমি লাগে। সাব্রুমে তার থেকে কিছুটা কম পাওয়া গিয়েছে। বিল্পব দেব জানিয়েছেন রাজ্য সরকার এ ক্ষেত্রে নীতি আয়োগের কাছে সামান্য ছাড় চেয়েছে, আশা করা হচ্ছে জটিলতা কেটে যাবে দ্রুত। অবশেষে সেই জটিলতা কেটে গিয়েছে।
স্পেশাল ইকোনমিক জোনে মূলত রাবার শিল্পের সামগ্রী, বস্ত্র পণ্য উপকৃত হবে। রাজ্য সরকারের জানিয়েছে সেজ তৈরির পর প্রায় ১২ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হবে। প্রথম পাঁচ বছরের জন্য আয়কর আইনের ১০ এএ ধারার অধীন এসইজেড ইউনিটগুলির রফতানি আয়ের উপর ১০০ শতাংশ আয়কর ছাড় দেওয়া হবে।
Read the full story in English