ত্রিপুরা সরকার রাজ্যে সরকারি কর্মচারীদের জন্য ১২ শতাংশ মহার্ঘভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করল। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এই ঘোষণা করেছেন। এতদিন ত্রিপুরার রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ৮ শতাংশ মহার্ঘভাতা পেতেন। এদিনের ঘোষণার পর ১লা ডিসেম্বর থেকে ২০ শতাংশ করে পাবেন।
ডিএ বৃদ্ধির ফলে মোট ১ লক্ষ ৪ হাজার ৬০০ রাজ্য সরকারি কর্মী এবং ৮০ হাজার ৮০০ পেনশন ভোগী উপকৃত হবেন। ডিএ বৃদ্ধি ছাড়াও মুখ্য়মন্ত্রী মানিক সাহা ঘোষণা করেছেন যে, চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বেতনও প্রায় দ্বিগুন করা হচ্ছে।
বিরোধী শিবির মুখ্যমন্ত্রী এই ঘোষণাকে নির্বাচনী চমক বলে দাবি করছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, ১২ শতাংশ হারে ডিএ দিতে প্রতি মাসে রাজ্য সরকারে প্রায় ১২০ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে। বছরে যে খরচ দাঁড়াবে ১৪৪০ কোটি টাকা। যদিও এই খরচের সংস্থান কোথা থেকে হবে, তার সুস্পষ্ট জবাব এদিন দেননি ত্রিপুরার মুখ্য়মন্ত্রী মানিক সাহা। বদলে তাঁর যুক্তি, 'সাহস এবং উদারতা থাকলে মানুষকে সর্বাধিক সুবিধা দেওয়া সম্ভব।'
বিজেপি শাসিত ত্রিপুরার রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণাকে এবার বাংলার পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে তুলে ধরবে গেরুয়া বাহিনী। নলহাটিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথাতেই তা স্পষ্ট। তিনি বলেন, 'ডবল ইঞ্জিন সরকার মানে ডিএ বৃদ্ধি, সুশাসন। ত্রিপুরা তার উদাহরণ।'
উল্লেখ্য, কেন্দ্র যখন কর্মচারীদের ৩৮ শতাংশ হারে ডিএ দেয়, তখন পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ৩ শতাংশ হারে ডিএ দিয়ে থাকে। সরকারি কর্মীদের বর্ধিতহারে ডিএ প্রাপ্তির বিষয়টি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সাফ জানিয়েছে, বর্ধিত হারে ডিএ দিতে গেলে রাজ্য সরকারি কোষাগারে টান পড়বে। ফলে সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পগুলি চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে।