বাম জমানায় পি ডবলিউ ডি-তে ৬৩৮.৮০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারির অভিযোগে সরগরম ত্রিপুরা বিধানসভা। এই কেলেঙ্কারি নিয়ে প্রাক্তন পূর্তমন্ত্রী বাদল চৌধুরীকে এর আগে তিনবার ভিজিল্যান্স ডিপার্টমেন্ট ডেকে পাঠিয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে।
সংবাদমাধ্যমে বাম জমানায় পূর্ত কেলেঙ্কারি নিয়ে বিধায়ক সুধাংশু দে-র এক প্রশ্নের জবাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পূর্তমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, "২০০৮-০৯ সালের আর্থিক বর্ষে বিভিন্ন প্রকল্পে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য অতিরিক্ত ২২৫ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মন্ত্রিসভার নোটের সঙ্গে তৎকালীন মুখ্যসচিবের দেওয়া নোট মিলছে না। আমাদের নজরে আসার পর এ বেনিয়ম নিয়ে ভিজিল্যান্স তদন্ত শুরু হয়েছে।"
পূর্ত কেলেঙ্কারি নিয়ে উত্তাল ত্রিপুরা বিধানসভা
এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রিসভার নোটে বলা হয়েছে ২০০৮-০৯ সালে পরিকাঠামো খাতে ১০ শতাংশ খরচ অনুমোদন করা হয়েছে। কিন্তু মুখ্যসচিব ওয়াই পি সিং ৩৫.৭৫ শতাংশ খরচের কথা বলেছেন। এই অতিরিক্ত খরচ মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেনি সরকারের নথি অনুযায়ী এ ব্যয়ের কথা সরকার জানতও নায
এ ব্যাপারে বিজেপি বিধায়কদের আক্রমণের মুখে দাঁড়িয়ে বিরোধী বিধায়ক বাদল চৌধুরী বলেন "বাম আমলে খুব ভাল উন্নয়নের কাজ হয়েছে। আমাদের কাজের জন্য আমরা গর্বিত।" বাম জমানায় চারবার পূর্তমন্ত্রী ছিলেন বাদল চৌধুরী।
তিনি দাবি করেন, ভিজিল্যান্স ডিপার্টমেন্ট তাঁর কাছে কিছু তথ্যের জন্য সাহায্য চেয়েছিল। তাঁকে অভিযুক্ত হিসেবে জেরা করার জন্য আটকে রাখা হয়নি।
বাদল চৌধুরীর ব্যাখ্যার সময়ে বিধানসভার উপাধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করতে বলায় তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং উপাধ্যক্ষকে বলেন, "আপনি পক্ষাবলম্বন করছেন। যে আসনে বসে আছেন তাকে অসম্মান করবেন না।"
ট্রেজারি বেঞ্চের ধিক্কারের মধ্যেই বাদল চৌধুরীর মাইক্রোফোন অফ করে দেওয়া হয়, কিন্তু তিনি বক্তব্য থামাননি। তাঁর বক্তব্য চলার মধ্যেই অধিবেশন মুলতুবি রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে বাদল চৌধুরী বলেন, তথাকথিত কেলেংকারির সমস্ত নথি তাঁকে দেওয়া হোক, যাতে তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে পারেন।