বঞ্চিত প্রত্যাবর্তন আন্দোলন কমিটি (ডিআরএমসি) ত্রিপুরায় আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিদের একটি যৌথ সংস্থা। এই সংগঠন অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় সড়ক অবরোধের কর্মসূচি স্থগিত করার ঘোষণা করেছে। এই অবরোধ কর্মসূচি রবিবার থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে যে, সমস্যা সমাধানে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবেন। পুনর্বাসনের নানা দাবি নিয়ে আগামী ১৩ জুন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বঞ্চিত প্রত্যাবর্তন আন্দোলন কমিটির প্রতিনিধিদের কথা হতে পারে।
ডিআরএমসি নেতা অমৃত রেয়াং শনিবার সকালে আগরতলা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের বলেছেন যে, '১৪ জুন সকাল ১০টায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে। ফলে আজ আমরা ঘোষণা করছি যে জাতীয় সড়ক অবরোধ প্রতিবাদ কয়েক দিনের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হল।'
রিয়াং জানিয়েছেন যে, আত্মসমর্পণের সময় সরকারের তরফে দেওৃয়া পুনর্বাসনের আশ্বাস নিয়ে তাঁরা গত ৩১ মে উপজাতি কল্যাণ পরিচালকের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। আলোচনা একটি অমীমাংসিত ছিল। সংগঠনের দাবি, সরকার আত্মসমর্পণকারীদের যথাযথভাবে পুনর্বাসন করতে ব্যর্থ হয়েছে। নিজেদের চাহিদার দাবি নিয়ে তাই আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিদের সংগঠন বঞ্চিত প্রত্যাবর্তন আন্দোলন কমিটি ৫ জুন থেকে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার চম্পকনগরে জাতীয় সড়ক-8-এ অনির্দিষ্টকালের অবরোধে বসবেন।
আরও পড়ুন- রাজ্যসভার ভোট: বাগে পেয়ে শাসক-শিবিরকে সবক শেখাল BJP
তাঁর সংযোজন, সমাজের মূল স্রোতে ফেরারা মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার কাছ থেকে যথাযথ আশ্বাস পেলেই আপাতত প্রতিবাদ কর্মসূচি স্থগিত রাখবেন। তবে আলোচনা ফলপ্রসূ না হলে ২১শে জুন জাতীয় সড়ক অবরোধ শুরু হবে। আত্মসমর্পণকারীরা বলেছেন যে, আন্দোলনকারীরা পরিকল্পিতভাবেও প্রতিবাদ কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, ৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ত্রিপুরার লাইফলাইন হিসাবে বিবেচিত হয়। এই পথ ত্রিপুরার সঙ্গে অসমের সংযোজক স্তাপণ করিয়েছে।