Advertisment

৫১৮ বছরে এই প্রথম বলি বন্ধ ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরে

চলতি বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর একটি জনস্বার্থ মামলায় ত্রিপুরা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, সে রাজ্যের কোনও মন্দিরে আর বলি দেওয়া যাবে না।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
tripurasundari temple, ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দির

ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দির।

৫০০ বছরেরও পুরনো রীতি বন্ধ হয়ে গেল ত্রিপুরার মাতা ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরে। এই প্রথমবার ত্রিপুরার উদয়পুরের এই মন্দিরে বলিপ্রথা পালন করা হল না। ত্রিপুরা হাইকোর্টের রায়ের পর থেকে গত ৫ অক্টোবর থেকে আর কোনও বলিদান হচ্ছে না ওই মন্দিরে। উল্লেখ্য, গত ৫১৮ বছর ধরে ওই মন্দিরে বলিপ্রথা চলে আসছিল। এই সিদ্ধান্তকে অনেকেই স্বাগত জানিয়েছেন। যদিও পুরোহিত, মন্দির কর্তৃপক্ষের একাংশ ও কিছু ভক্তরা ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে বলিপ্রথাকে সমর্থন জানিয়েছেন।

Advertisment

চলতি বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর একটি জনস্বার্থ মামলায় ত্রিপুরা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, সে রাজ্যের কোনও মন্দিরে আর বলি দেওয়া যাবে না। অবিলম্বে বলিপ্রথা বন্ধ করতে হবে। ২০১৮ সালে সুভাষ ভট্টাচার্য নামে এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারক এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন।

আরও পড়ুন: সুরুলের রাজবাড়িতে বলি দেওয়ার সময় আজও নারায়ণকে রেখে আসা হয় মন্দিরে

যদিও হাইকোর্টের নির্দেশের পরও ৮ দিন ধরে বলিপ্রথা চলেছে ত্রিপুরাশ্বেরী মন্দিরে। এরপর গত ৫ তারিখ এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করেন জেলাশাসক। হাইকোর্টের নির্দেশের পরও কেন ৮ দিন ধরে বলি দেওয়া হল, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। এ ব্যাপারে জেলাশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। অন্যদিকে, এ ইস্যুতে মন্তব্য করতে চাননি অতিরিক্ত জেলাশাসক।

প্রসঙ্গত, রীতি মেনে রোজই মাতা ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরে বলি দেওয়া হয়। এছাড়া দীপাবলির মতো বিশেষ সময়ে বেশি সংখ্যক বলি দেওয়া হয়। তবে শুধুমাত্র ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরই নয়, চতুর্দাস দেবতা বাড়ি মন্দির, পশ্চিম ত্রিপুরার দুর্গাবাড়ি মন্দিরেও হাইকোর্টের রায়ের প্রভাব পড়েছে।

Read the full story in English

Durga Puja 2019
Advertisment