জুনের ১৫ তারিখ যেখানে রক্তক্ষয়ী হামলা হয়েছিল, গালওয়ানের সেই এলাকা থেকে ১.৮ কিলোমিটার সরে এসেছে চিন ও ভারতের সেনা। মোট ২ কিলোমিটার এলাকা বাফার জোনে রেখে সরে আসার কথা সোমবারই ঘোষণা করা হয় দুই দেশের তরফে। সেনা সূত্রের খবর, গালওয়ানের পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪ থেকে অস্থায়ী শিবিরও খুলে নিয়েছে চিন। একাধিক গাড়িতে গন্তব্যে ফিরে গিয়েছে লাল ফৌজ।
Advertisment
প্রথম পর্যায়ে পিছিয়ে এসে বর্তমানে যে জায়গায় দুই দেশের সেনা অবস্থান করছে সেই শিবিরে উভয় পক্ষেরই ৩০ জন করে সেনা রয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও এক কিমি করে সেনা পিছিয়ে যাবে বলে বিশেষ প্রতিনিধি দলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। এক্ষেত্রে অস্থায়ী তাঁবুতে ৫০ জন করে জওয়ান থাকতে পারবেন বলে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪ তে প্রথম ২ কিলোমিটারের মধ্যে একজনও সেনা থাকার কথা নয়। এই এলাকায় দুই দেশের সেনার একজনও আপাতত নজরদারি চালাবে না বলে জানিয়েছে দুই দেশে। এক সেনা কর্তার কথায়, 'ভারতীয় সেনার তরফে দ্বিতীয়বার খতিয়ে দেখার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পিপি-১৪তে চিনা শিবির, বাঙ্কার সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।'
পিপি ১৪ চিনা সেনা মুক্ত। তার থেকে ৫০-৬০ কিমি দূরে রয়েছে পিপি-১৫ ও পিপি ১৭-এ। গত কয়েকদিনে এই এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার নজরে এলেও পুরোপুরি চিনা সেনা মুক্ত হয়নি। এই অঞ্চলকে চিনা সেনা মুক্ত করাই এবার দিল্লির অগ্রাধিকার। মঙ্গলবার লাল ফৌজ নিয়ন্ত্রণরেখার অন্য জায়গা বা গালওয়ানের কাছ থেকে আরও সরে কিনা সেদিকেও নজর রাকা হচ্ছে।
তবে, প্যাংগংয়ের ফিঙ্গার ৪-৮ পর্যন্ত এলাকা থেকে এখনও চিনা সেনা সরার কোনও লক্ষণ নেই। যা উদ্বেগ বাড়িয়েছে দিল্লির। এই অঞ্চলে উত্তেজনা প্রশমণে দুই দেশের সেনা ও বিশেষ প্রতিনিধিদের আরও বৈঠকের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, চলতি মাসের ১০-১১ তারিখের পর সেই বৈঠক নির্ধারিত হতে পারে।
সেনা সরিয়েছে চিন। তবে প্রতিপক্ষের কার্যকলাপ বিবেচনা করেই পরবর্তী পদক্ষেপ করতে চাইছে ভারত। নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা থাকা অ্যান্যান্য এলাকায় বাফার জোন তৈরি কথা ভাব হচ্ছে। তবে, আগামী কয়েকদিন নিয়ন্ত্রণরেখায় কড়া নজরদারি চালানো হবে বলে জানতে পারা গিয়েছে। সেনা সরানোর প্রথম পর্যায় সম্পন্ন হতে আরও দু'সপ্তাহ সময় লাগবে বলে সেনা সূত্রে খবর।