খালিস্তানি নেতা পান্নু হত্যার ষড়যন্ত্রে ভারতের যুক্ত থাকার মার্কিন অভিযোগ সামনে আসার পর থেকে 'ভারতের মনোভাবের পরিবর্তন হয়েছে', এমনটাই দাবি করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
খালিস্তান পন্থী নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে এক ভারতীয় নাগরিককে অভিযুক্ত করেছে আমেরিকা। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো
একদিকে খালিস্তান ইস্যুতে ভারত ও কানাডার মধ্যে বিরোধ চলছে। অন্যদিকে খালিস্তান সমর্থক গুরপতবন্ত সিং পান্নু হত্যার ষড়যন্ত্রের বিষয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন যে আমেরিকার অভিযোগের পর ভারতের অবস্থানে পরিবর্তন এসেছে।
পান্নু হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে আমেরিকা এক ভারতীয় নাগরিককে অভিযুক্ত করেছে। জাস্টিন ট্রুডো কানাডিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের সাথে একটি সাক্ষাত্কারে একথা বলেন।
ট্রুডো আরও বলেন, “আমরা এই মুহূর্তে ভারতের সঙ্গে কোনো প্রকার কূটনৈতিক বিরোধে দজড়াতে চাই না। আমরা ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে এগিয়ে যেতে চাই, তবে কানাডার জন্য জনগণের অধিকার, জনগণের নিরাপত্তা এবং আইনের শাসনের পক্ষে দাঁড়ানো গুরুত্বপূর্ণ এবং আমরা সেটাই করতে যাচ্ছি।"
ট্রুডোর এই বক্তব্য এমন সময়ে এসেছে যখন হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যা নিয়ে ভারত ও কানাডার মধ্যে বিরোধ চলছে। সম্প্রতি, ট্রুডো দাবি করেছিলেন যে নিজ্জার হত্যায় ভারতীয় এজেন্টরা জড়িত। তা প্রত্যাখ্যান করে বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, ট্রুডোর দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এর পরে, ভারতের সঙ্গে কানাডার কূটনৈতিক বিরোধ বাড়তে শুরু করে।
বিবৃতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদীও
ব্রিটিশ পত্রিকা ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পান্নু হত্যা ষড়যন্ত্রে আমেরিকার অভিযোগের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন যে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র আইনের শাসনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং কেউ তথ্য দিলে তা খতিয়ে দেখা হবে।
তিনি বলেছিলেন, “আমাদের নাগরিকদের মধ্যে কেউ যদি কোন রকম অপ্রত্যাশিত কাজ করে থাকে তবে আমরা তা খতিয়ে দেখতে প্রস্তুত। আমাদের প্রতিশ্রুতি আইনের শাসনের প্রতি।'' প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেছিলেন যে ভারত বিদেশের মাটিতে চরমপন্থী গোষ্ঠীর কার্যকলাপ নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন।
ব্যাপারটা কি?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল প্রসিকিউটররা সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন যে নিখিল গুপ্তা নামে এক ব্যক্তি শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী গুরপতবন্ত সিং পান্নুকে হত্যার ব্যর্থ পরিকল্পনায় একজন ভারতীয় সরকারি কর্মচারীর সঙ্গে কাজ করছেন। পান্নুর আমেরিকা ও কানাডার দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। অভিযোগ তদন্তে ভারত একটি কমিটি গঠন করেছে।