ইন্দো-মার্কিন সম্পর্ক আরও পোক্ত করতে তৎপর ট্রাম্প ও মোদী। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভা। তার আগেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে পারেন এই দুই রাষ্ট্রনেতা। এছাড়া আগামী সপ্তাহে অনাবাসী ভারতীয়দের বৈঠকে যোগ দিতে হিউস্টনে যাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই মার্কিন শক্তি সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। এই দুই কর্মসূচির যেকোনও একটিতে যোগ দেওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের। কূটনৈতিক প্রেক্ষিতে যা সাফল্য বলেই মনে করছে নয়াদিল্লি।
আগামী ২২শে সেপ্টেম্বর হিউস্টনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে মূলত দুটি কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। প্রথমত, টেক্সাস ইন্ডিয়া ফোরামের উদ্যোগে ইন্দো-আমেরিকান গোষ্ঠীর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। সেখানে প্রায় ৫০,০০০ মানুষের জমায়েত হওয়ার কথা রয়েছে। দ্বিতীয়ত, হিউস্টনকে বলা হয় বিশ্বের শক্তি রাজধানী। শহরে মার্কিন শক্তি সংস্থাগুলোর সিইও-দের সঙ্গেও বৈঠকে বসবেন তিনি। নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন মনে করছে, নজির স্থাপন করে হয়তো দুটি অনুষ্ঠানেই যোগ দিতে পারেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। মূলত কর্মসংস্থান ও বাণিজ্য উন্নতির কারণেই ট্রাম্প দ্বিতীয় বৈঠকে যোগ দিতে বেশি আগ্রহী বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে, ২০১৪ সালে ম্যাডিসন গার্ডেনে অনাবাসী ভারতীয়দের অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করেছিলেন মোদী। সেই সময় ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মার্কিন কংগ্রেসের কয়েকজন সদস্য। এবারও তাঁরা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আগ্রহী।
আরও পড়ুন: হিন্দি হোক ভারতের সর্বজনীন ভাষা, বললেন অমিত শাহ, প্রতিবাদে সরব হলো নেটপাড়া
আমেরিকার থেকে শক্তি আমদানির ক্ষেত্রে ভারত রয়েছে প্রথম সারিতে। গত বছর প্রায় ৪ বিলিয়ান মার্কিন ডলার শক্তি আমদানি করেছিল। সেই বিষয়টি আরও বাড়াতে উদ্যোগী নয়াদিল্লি। শক্তি সংস্থাগুলোর সিইওদের সঙ্গে বৈঠকে স্থির হবে ভারত কীভাবে এই আমদানি বৃদ্ধি করবে ও ভারতীয় সংস্থাগুলি আমেরিকায় বিনিয়োগ করবে।
জানা গিয়েছে, গত মাসে জি-৭ বৈঠকের সময়ই এই সফর সম্পর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তাঁর এই পরিকল্পনার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী মোদী। যাতে সম্মতি দেন প্রেসিডেন্ট। বিদেশ সচিব বিজয় গোখলে বলেন, 'প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মার্কিন আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন হিউস্টনে উপস্থিত থাকার জন্য। এতে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি সহজ হবে।'
আরও পড়ুন: ‘আদালতেই প্রমাণ দিতে হলে এত খরচ করে এনআরসির কী প্রয়োজন?’, প্রশ্ন বিজেপি সাংসদের
রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণসভায় যোগ দেওয়ার আগে মোদী-ট্রাম্পের হিউস্টনে সাক্ষাৎ অত্যন্ত গুরুত্ববাহী বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। এরপর ওয়াশিংটন ডিসিতে পৃথিবীর প্রথম দুই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নেতার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সানডে এক্সপ্রেস জানতে পেরেছে, নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন মনে করছে আগামী ২৫ ও ২৬শে সেপ্টেম্বর দ্বপাক্ষিক এই আলোচনা হতে পারে।
কাশ্মীর ইস্যুকে সামনে এনে ভারত বিরোধীতায় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে হস্তক্ষেপ করার আবেদন করেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। নয়াদিল্লি অনড় মনোভাবের সামনে অবশ্য তা ধোপে টেকেনি। কোণঠাসা ইসলামাবাদ। ২৭শে সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রসঙ্গের নিরাপত্তা পরিষদের সাধারণসভায় যোগ দেবেন মোদী-ইমরান। তার আগে হিউস্টন সাক্ষাৎ ইমরানের অস্বস্তি বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।
Read the full story in English