মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গ্রেফতারি ঠেকাতে সমর্থকদের প্রতিবাদে শামিল হওয়ার আহ্বান জানালেন তিনি। ট্রাম্প শুধু আহ্বান জানিয়েই ক্ষান্ত হবেন না। তিনি এই বিক্ষোভ যাতে ছড়িয়ে পড়ে, তার জন্য যাবতীয় চেষ্টা চালাবেন। এমনটাই মনে করছেন মার্কিন পুলিশ আধিকারিকরা। আর, সেই বিক্ষোভ ঠেকাতে তাঁরা যথাসম্ভব যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যমে শনিবার এমন খবরই প্রকাশিত হয়েছে।
তবে, এই ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। কিন্তু, আচমকা তাঁকে গ্রেফতার করা হবে বলে কেন ভাবছেন ট্রাম্প? এই ব্যাপারে মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ম্যানহাটন জেলা অ্যাটর্নি অফিস থেকেই গ্রেফতারির ইঙ্গিত পেয়েছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে, তাঁর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আনা হয়েছে, সেই ব্যাপারে উচ্চবাচ্য করেননি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। শুধু জানিয়েছেন, যথাযোগ্য প্রমাণ ছাড়াই তাঁকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এই ব্যাপারে ট্রাম্প জানিয়েছেন, 'দুর্নীতিগ্রস্ত এবং অত্যন্ত রাজনৈতিক ম্যানহাটনের জেলা অ্যাটর্নির অফিস। সেখান থেকে গোপন তথ্য ফাঁস ইঙ্গিত দিয়েছে যে, কোনও অপরাধ প্রমাণিত হয়নি। শীর্ষস্থানীয় রিপাবলিকান প্রার্থী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে আগামী মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হবে।' আর, তারপরই স্বকীয় ভঙ্গিমায় মার্কিন নাগরিকদের বিক্ষোভে শামিল হতে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- কিছু বিচারপতি ‘ভারত-বিরোধী গোষ্ঠীর’ অংশ, রাজধানীতে বিস্ফোরক কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী
ম্যানহাটনের জেলা অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগের অফিস, চলতি বছরের গোড়ার দিকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একটি আর্থিক লেনদেনের তদন্তের প্রমাণ গ্র্যান্ড জুরি (বিচারক)-র কাছে পেশ করা শুরু করেছিল। ২০১৬ সালে ট্রাম্পের প্রচারের শেষ দিকে ১৩০,০০০ মার্কিন ডলার লেনদেন হয়েছিল। সেই মামলাতেই তদন্তের প্রমাণ পেশ করেছেন ব্র্যাগ। ট্রাম্পের প্রাক্তন ব্যক্তিগত আইনজীবী ওই অর্থ পর্নস্টার স্টোর্মি ড্যানিয়েলকে দিয়েছিলেন। ড্যানিয়েলের আসল নাম স্টেফানি ক্লিফোর্ড। তিনি দাবি করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক ছিল। যদিও ট্রাম্প সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।