বিরাট ফাঁপরে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোলান্ড ট্রাম্প। যৌন নির্যাতনের ঘটনায় মার্কিন আদালতে দোষী সাব্যস্ত। ৩৩ বছরের পুরনো মামলায় কোটি কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ। মামলার রায় শুনে কার্যতই অখুশি প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
যৌন হেনস্থা ও মানহানির মামলায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করল মার্কিন আদালত। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ১৯৯০-এর দশকে ম্যাগাজিন লেখিকা ই. জিন ক্যারলকে যৌন হেনস্থা এবং মানহানির ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করে ৫ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় ৪১.৪১ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যদিও শুনানির শুরু থেকেই নিজেকে নির্দোষ বলেই দাবি করে আসছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
জিন ক্যারল প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ সামনে আনেন। মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন আদালত ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের অভিযোগ খারিজ করে দেয়। যৌন হেনস্থার ও মানহানির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৪১.৪১ কোটি টাকা) দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন আদালত।
বিচারের শুনানি পর্বে ট্রাম্প আদালতের সামনে হাজিরা দেন নি বলেও জানা গেছে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই মামলার শুনানি শুরু হয় ২৫ এপ্রিল। কয়েক ঘণ্টা ধরে বিচারপর্ব চলার পর ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করে মার্কিন আদালত।
এদিকে মামলায় বিলম্বের কারণ হিসাবে ক্যারল আদালতকে বলেছেন যে তিনি ২০ বছর ধরে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খুলতে পারেন নি। ক্যারলের আগে আরও অনেক মহিলাই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন। ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে আসীন ছিলেন তিনি। সামনেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দানে ফের নামছেন ট্রাম্প। তবে আদালতের এই সিদ্ধান্তের পর তার প্রচারে প্রভাব পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
মার্কিন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি একটি দেওয়ানী মামলা, তাই ট্রাম্পের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে এই রায় খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না। ট্রাম্পের ভোটাররা এরপরেও তার পক্ষেই রায় দেবেন।