Trump Tariffs Effect: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একের পর বিস্ফোরক সিদ্ধান্তে বিধ্বস্ত বাজার। শুল্ক নীতির জেরে চরম অনিশ্চয়তার মুখে বিশ্ব বাণিজ্য। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত আমেরিকা ও চিনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধকে আরও তীব্রতর করছে।
আমেরিকা ও চিনের মধ্যে শুল্ক যুদ্ধ ২০১৮ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদেও শুরু হয়েছিল। যার লক্ষ্য ছিল ড্রাগনের উপর চাপ সৃষ্টি করা এবং তার বাণিজ্য নীতিতে পরিবর্তন আনা। এখন ২০২৫ সালে ট্রাম্প ফের ক্ষমতায় আসার পর, এই দ্বন্দ্ব আবার তীব্র হয়েছে। এর সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বে বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কাও বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে আমেরিকা ও চিনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব ভারতেও পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এবার ভারতীয় ওষুধ খাতে মার্কিন ধাক্কা, শুল্ক ছাড় বন্ধের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওষুধ আমদানিতে বড়সড় শুল্ক আরোপের ইঙ্গিত দিয়েছেন। যার ফলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা ভারতীয় ওষুধ খাতে এর প্রভাব পড়তে পারে। মঙ্গলবার রাতে তিনি বলেন, "আমরা খুব শীঘ্রই ওষুধের উপর একটি বড় শুল্ক ঘোষণা করতে যাচ্ছি।"
ট্রাম্পের এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে যখন আমেরিকার আরোপিত নয়া শুল্কনীতি বুধবার থেকে কার্যকর হয়েছে। ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল রিপাবলিকান কংগ্রেসনাল কমিটির নৈশভোজে তিনি তার বক্তৃতায় চিনের কথা উল্লেখ করলেও ভারতের কথা উল্লেখ করেননি। গত সপ্তাহে যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নয়া শুল্ক নীতির ঘোষণা করেন তখন তিনি ওষুধ, তামা, সেমিকন্ডাক্টর, কাঠ, সোনা, জ্বালানি এবং কিছু খনিজ পদার্থকে শুল্কমুক্ত রাখেন কারণ এগুলো মার্কিন অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি ট্রাম্প ওষুধের উপর শুল্ক আরোপ ঘোষণা করেন, তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা ভারতীয় ওষুধ কোম্পানিগুলির উপর এর বিশাল প্রভাব পড়বে। ব্লমবার্গের মতে,ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে দেশীয় ওষুধ উৎপাদনের অভাব নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে, ট্রাম্প বারবার দেশে ওষুধের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য শুল্ক আরোপের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন।
যদি ট্রাম্প ওষুধের উপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেন তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা ভারতীয় ওষুধ কোম্পানিগুলির উপর এর বিরাট প্রভাব পড়বে। রয়টার্স ওষুধ খাতের বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলে জানিয়েছে বেশিরভাগ জেনেরিক ওষুধ ভারতীয় কোম্পানিগুলি কম দামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করে। বর্তমানে এর উপর প্রায় কোনও সারচার্জ নেই। যেখানে ভারত আমেরিকা থেকে রপ্তানি করা ওষুধের উপর ১০% কর আরোপ করে।
রয়টার্সের মতে, ভারতের ওষুধ কোম্পানিগুলি রপ্তানির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ আমেরিকায় রপ্তানি করে । ২০২৪ সালের মার্চ মাসে, বায়োকন এবং লুপিনের মত সংস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধ রপ্তানি করে মোট আয়ের ৪৪% এবং ৩৭% আয় ঘরে আনে। রয়টার্সে জানিয়েছে, ভারতের বৃহত্তম ওষুধ কোম্পানি সান ফার্মা গত আর্থিক বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের পণ্য বিক্রি করে মোট আয়ের ৩২% আয় করেছে। এছাড়াও, ডঃ রেড্ডি, অরবিন্দ ফার্মা, জাইডাস লাইফসায়েন্সেস মতো অন্যান্য সংস্থাগুলিও আমেরিকায় প্রচুর পরিমাণে ওষুধ রপ্তানি করে।