ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনে ক্ষুব্ধ ব্রিটেন আগেই পুতিনের দেশের উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। রাষ্ট্রসংঘেও রাশিয়ার বিরুদ্ধেই সুর চড়া করেছে ব্রিটেন। এই আবহে ভারত সফরে ব্রিটিশ বিদেশ সচিব লিজ ট্রাস। বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ট্রাসের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হল। সেই বৈঠকে রাশিয়া নিয়ে নিজেদের অবস্থান ফের একবার ভারতের সামনে স্পষ্ট করল ব্রিটেন। ব্রিটেনের বিদেশ সচিবের বক্তব্য শোনার পর রাশিয়া ইস্যুতে জয়শঙ্কর বলেন, ''নিষেধাজ্ঞার আলোচনা একটি প্রচারের মতো দেখাচ্ছে। যুদ্ধের আগে ইউরোপের দেশগুলিই রাশিয়ার থেকে সবচেয়ে বেশি তেল কিনছিল।''
বৃহস্পতিবারের বৈঠকের শুরু থেকেই ব্রিটিশ বিদেশ সচিব ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন নিয়ে সুর চড়িয়েছেন। ভারতেরও এব্যাপারে কী অবস্থান তা জানার চেষ্টা করেছেন তিনি। তবে এব্যাপারে বেশ সাবধানী পদক্ষেপ নিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। এস জয়শঙ্কর ভারত-ব্রিটেন স্ট্র্যাটেজিক ফিউচার ফোরামের ৪৫ মিনিটের আলোচনা পর্বে রাশিয়ার নাম নেননি। এর পরই দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়।
বর্তমান পরিস্থিতিতে আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ একাধিক দেশ রাশিয়ার উপর একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। এই পরিস্থিতিতেও ভারত রাশিয়া থেকে ছাড়ে তেল কিনবে কিনা সে প্রশ্নের উত্তরে ব্রিটিশ বিদেশসচিব ট্রাস বলেন, ''নিষেধাজ্ঞার বিষয় নিয়ে আমি ব্রিটেনের দৃষ্টিভঙ্গির একটি ধারণা দিয়েছি। চলতি বছরের শেষেই রাশিয়ার তেলের উপর আমাদের নির্ভরতা শেষ করছি। তবে ভারত একটি সার্বভৌম দেশ। কী করতে হবে সেটা আমরা ভারতকে বলতে যাচ্ছি না। তবে আমরা ইউক্রেনের জনগণের পাশে দাঁড়াতে যথাসাধ্য পদক্ষেপ করার জন্য একটি দৃঢ় দায়িত্ব অনুভব করছি। অন্যদের কী করা উচিত বা করতে হবে তা আমরা বলতে যাব না।''
আরও পড়ুন- মোদী-যোগীর বিরুদ্ধে মন্তব্য, কাওয়ালি গায়ককে ধরতে কানপুরে ছুটল মধ্যপ্রদেশ পুলিশ
বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, মার্চ মাসে ইউরোপ রাশিয়ার কাছ থেকে আগের মাসের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি তেল ও গ্যাস কিনেছে। বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, "আপনি যদি রাশিয়া থেকে তেল এবং গ্যাসের প্রধান ক্রেতাদের দিকে তাকান, আমি মনে করি আপনি তাঁদের বেশিরভাগকেই ইউরোপে পাবেন। আমরা নিজেরাই মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমাদের জ্বালানি সরবরাহের সিংহভাগ পাই। এর আগে আমাদের তেলের প্রায় ৭.৫-৮ শতাংশ আমেরিকা থেকে আসত। শতাংশের হিসেবে সেই পরিমাণ সম্ভবত রাশিয়ার থেকে কম।"
Read full story in English