পপ ব্যান্ড ‘সেভেন্টিন’-এর পারফর্ম্যান্স যখন তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করছেন দর্শকরা, ঠিক তখনই সুনামির তাণ্ডবে সব তছনছ হয়ে গেল। ছবি: ইউটিউব/ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
তখন অনেক রাত। প্রাক বড়দিন উদযাপনে যেন মেতেছে শহর। মিউজিকের তালে তালে গানে দর্শকদের মাত করছেন ব্যান্ড শিল্পীরা। গানের ছন্দে পা মেলাচ্ছে রংবেরঙের আলো। ব্যান্ডের গান চেটেপুটে উপভোগ করছেন দর্শকরা। এককথায় আদ্যোপান্ত সেলিব্রেশন। সেরকম সুখের সময়েই ধেয়ে এল সে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুহূর্তের মধ্যেই সব শেষ। এমন ভয়ঙ্কর তাণ্ডবের মুহূর্তই ঘুরছে সোশাল মিডিয়ায়। ঘটনাস্থল ইন্দোনেশিয়া। যেখানে সুনামির তাণ্ডবে বড়দিনের সব আনন্দ ফিকে হয়ে গিয়েছে।
Advertisment
দ্য গার্ডিয়ান সূত্রে জানা গিয়েছে, সেদিন তনজুং লেসুং বিচ রিসর্টে বসেছিল গানের আসর। পপ ব্যান্ড ‘সেভেন্টিন’-এর পারফর্ম্যান্স যখন তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন দর্শকরা, ঠিক তখনই সুনামির তাণ্ডবে সব তছনছ হয়ে গেল। ক্র্যাকাটোয়া আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের জেরেই ইন্দোনেশিয়ায় শনিবার রাতে সুনামি আছড়ে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। সুন্দা স্ট্রেট এলাকায় সুনামি আছড়ে পড়ে এদিন রাতে। যে ঘটনায় ২৮০ জন প্রাণ হারিয়েছেন, জখম হয়েছেন হাজার জনেরও বেশি মানুষ। বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বড়দিনের আগে এমন দুর্যোগে কার্যত দিশেহারা অবস্থা সে দেশের।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর সুনামির ভয়াল রূপ দেখেছে এ দুনিয়া। যে দুর্যোগে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩ টি দেশের মোট ২ লক্ষ ২৬ হাজার মানুষ। ইন্দোনেশিয়াতেই মৃতের সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ২০ হাজারেরও বেশি। ১৪ বছর পর আবারও ক্রিসমাসের সময় সেই সুনামির তাণ্ডবলীলার সাক্ষী হল ইন্দোনেশিয়া।