Papua New Guinea Earthquake: শনিবার ভোরে তীব্র কম্পনে কেঁপে উঠল পাপুয়া নিউ গিনির নিউ ব্রিটেন অঞ্চল। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৬.৯। সাত সকালে ভূমিকম্পের জেরে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে চরম চাঞ্চল্য। প্রাণ ভয়ে ঘর বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে শুরু হয় হুড়াহুড়ি। সমগ্র আঞ্চলে তৈরি হয় আতঙ্কের পরিবেশ। ভূমিকম্পের কিছুক্ষণ পরেই, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রটির জন্য সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়
USGS অনুসারে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল কিম্বে শহর থেকে প্রায় ১৯৪ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে। স্থানীয় সময় শনিবার সকালে কম্পন অনুভূত হয়। এই অঞ্চলটি 'প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিং অফ ফায়ারের'মধ্যে পড়ে, যেখানে প্রায়ই শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। তবে এখনও কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীয় প্রশাসন এবং উদ্ধারকারী সংস্থা পরিস্থিতির উপর ক্রমাগত নজর রাখছে।
ইউএসজিএস অনুসারে, মূল ভূমিকম্পের প্রায় ৩০ মিনিট পরে, একই এলাকায় ৫.৩ মাত্রার আরেকটি কম্পন রেকর্ড করা হয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস ভূমিকম্পের পর এই অঞ্চলে বেশ কয়েকটি আফটারশকের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকতে পারে।
রিং অফ ফায়ার - বিশ্বের সবচেয়ে সংবেদনশীল এলাকা
প্রশান্ত মহাসাগরের চারপাশে বিস্তৃত এই ভূকম্পন প্রবণ অঞ্চলকে "রিং অফ ফায়ার " বলা হয়। এটি প্রায় ৪০,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং এই অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে জাপান, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, নিউজিল্যান্ড, চিলি, পেরু এবং আমেরিকার পশ্চিম উপকূলের মতো অনেক দেশ। বিশ্বের সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি এবং ভূমিকম্প এই অঞ্চলে রেকর্ড করা হয়েছে।
প্রশাসনের আবেদন
কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার নাগরিকদের সতর্ক থাকার এবং প্রশাসনের নির্দেশিকা অনুসরণ করার জন্য আবেদন করেছেন। যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় ত্রাণ ও উদ্ধারকারী দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
নেপালে ৫.০ মাত্রার ভূমিকম্প, উত্তর ভারতের অনেক শহরেও কম্পন অনুভূত হয়েছে
আবারও পৃথিবী কেঁপে উঠল। এবার নেপালে তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.০। নেপালের পাশাপাশি উত্তর ভারতের একাধিক শহরে কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পের জেরে কেঁপে ওঠে দিল্লি-এনসিআর সহ উত্তর ভারতের একাধিক শহর। এর আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি,দিল্লিতে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সেই সময় মানুষ আতঙ্কে ঘর বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন।
এবার ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নেপাল। ভূমিকম্প আঘাত হানার সাথে সাথে নেপাল এবং আশেপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৫.০! যদিও এখনও পর্যন্ত প্রাণহানি বা সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই। এই ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল মাটির প্রায় ২০ কিলোমিটার গভীরে।
দিল্লি-এনসিআর সহ উত্তর ভারতে কম্পন অনুভূত হয়েছে
শুক্রবারের ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল নেপাল হলেও, এর প্রভাব বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে দিল্লি-এনসিআর পর্যন্ত অনুভূত হয়েছিল। দিল্লি-এনসিআর, ইউপি, বিহারও ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে।
২৮শে মার্চ, মায়ানমার-থাইল্যান্ডে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৩০০০ এরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। মায়ানমারে ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞের পর, অনেক দেশ ক্রমাগত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ভূমিকম্পের পরের দিনই ভারত মায়ানমারে অপারেশন ব্রহ্ম শুরু করে। যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার ওষুধ ও খাবার সহ সকল প্রকার প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করেছে।