সোমবার তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভুমিকম্পে মৃতের সংখ্যা আট হাজার ছুঁইছুঁই। এখনও পর্যন্ত প্রশাসন সূত্রে খবর ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সাত হাজার আটশো দেহ। চলছে উদ্ধার কাজ। প্রচণ্ড ঠান্ডায় ব্যহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কে শক্তিশালী ভূমিকম্পের ফলে ২২০০ বছরের পুরোনো রোমান স্মৃতিস্তম্ভ, গাজিয়ানটেপ দুর্গ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
বিপর্যয়ের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান দেশে সাত দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন। এরদোগান টুইটারে লিখেছেন, "৬ ফেব্রুয়ারি আমাদের দেশে যে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে, তাতে অনেক ক্ষতি হয়েছে। সঙ্কটের এই মুহূর্তে সাত দিনের জাতীয় শোক পালন করা হবে"। সোমবার তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভুমিকম্পের পর দেশ জুড়ে হাহাকার মৃত্যু মিছিল। খাবার-জল নেই, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, পরিজনদের চিন্তায় ঘুম উড়েছে ভারতে থাকা তুর্কিদের।
আরও পড়ুন: < অর্থমন্ত্রক-নীতি আয়োগের আপত্তি সত্ত্বেও আদনির হাতে ৬ বিমানবন্দর, কীভাবে? প্রশ্ন ঘিরে শোরগোল >
পর পর তিনটি ভূমিকম্প হয় তুরস্কে। কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮, ৭.৬ এবং ৬। প্রথম কম্পনটির উপকেন্দ্র ছিল সিরিয়া সীমান্তে গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদুগি এলাকায়। দ্বিতীয়টি কাহরামানমারা প্রদেশের একিনজুতে হয়। শেষ কম্পনটি এই প্রদেশেরই গোকসুন এলাকায় হয়।
তুরস্ক-সিরিয়ায় মৃত্যুমিছিলের জেরে সমব্যথী ভারত। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শোকবার্তা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। ভারতের তরফে ত্রাণসামগ্রী এবং উদ্ধারকাজের জিনিসপত্র নিয়ে এনডিআরএফ সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ টিম, ডগ স্কোয়াড, চিকিৎসা সামগ্রী, ড্রিল মেশিন, দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার ভোরেই প্রথম ব্যাচ রওনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: < শ্রদ্ধাকে খুনের পর চিকেন রোল অর্ডার, জল-হারপিক দিয়ে রক্ত পরিষ্কার করে আফতাব, দাবি চার্জশিটে >
এদিকে, ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কে এখন শ্মশানের নীরবতা। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোগান সাতদিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন। সোমবার ভোর রাতে ভূমিকম্পের জেরে তুরস্কে ভয়াবহ পরিস্থিতিতে শোকস্তব্ধ তিনি। তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আমেরিকার তরফে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।