তুরস্ক এবং সিরিয়ায় ধারাবাহিক ভূমিকম্পের পর কেটে গিয়েছে ৭২ ঘন্টারও বেশি সময়। এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ হাজারের কাছাকাছি মানুষ। ভুমিকম্পের জেরে কয়েক হাজার বহুতল তাসের ঘরের মত দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। ম্যাক্সার টেকনোলজিস ভুমিকম্পের 'আগে এবং পরে' ছবিগুলি শেয়ার করেছে। যা দেখেই বোঝা যায়, ধ্বংসের তীব্রতা।
এই সপ্তাহে তুরস্ক এবং সিরিয়ার ওপর পাঁচটি ভূমিকম্প পরপর আঘাত হানে এবং শতাধিক আফটারশকের কারণে ক্ষতির পরিমাণ ক্রমশই বাড়তে থাকে। তুরস্কের দক্ষিণ অংশ ভুমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ম্যাক্সার টেকনোলজিস ২৬ জুলাই ২০২২ এবং ৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩ দুটি স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গিয়েছে সাজানো-গোছানো একটা দেশ কীভাবে পুরোপুরি ছাড়খার হয়ে গিয়েছে। ট্রাক্টর, ক্রেন, বুলডোজার এবং খননকারী যন্ত্র সহ সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি যানবাহন মোতায়েন করা হয়েছে উদ্ধারকার্য্যে।
তীব্র ঠান্ডার কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। মানুষ অসহায়, সাহায্যের অপেক্ষায় দিন গুনছেন। সংবাদ সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের ৩ দিন পরও উদ্ধারকারী দল ধ্বংসাবশেষ থেকে জীবিত মানুষকে বের করে আনার চেষ্টা করছে।তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান স্বীকার করেছেন যে তার সরকার ভূমিকম্পের সতর্কতায় দেরিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
ভুমিকম্পের জেরে ১৫ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন, হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ চলছে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অনেকের চাপা পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তুরস্কের কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক সেমির কোবান সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন, "আমার ভাগ্নে, আমার ভগ্নিপতি এবং আমার বোন ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে।" তারা বেঁচে আছেন কি না তা জানা যায়নি। আমরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারি নি এখনও …আমরা সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করছি। ৪৮ ঘন্টা পেরিয়ে গিয়েছে” । এদিকে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে প্রশাসনের ওপর। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি ব্যর্থ।