টুইটারে তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা কমছে, যা নিয়ে গত মাসে সংস্থার ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিইও পরাগ আগরওয়ালকে চিঠি দিয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। বৃহস্পতিবার তারই জবাব দিয়েছে টুইটার। সংস্থার দাবি, 'সংখ্যাগুলি সঠিক এবং অর্থপূর্ণ। টুইটার কোনওরকম স্প্যাম বা বেনিয়ম সহ্য করে না।'
টুইটারের মুখপাত্র সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছে যে, 'পৃথক প্রযুক্তি ও কৌশলেই স্প্যাম বা বেনিয়মের মোকাবিলা করা হয়। ভালো ও দায়বদ্ধ পরিষেবার জন্য এই প্রক্রিয়া নিরন্তর চলে। ফলোয়ার সংখ্যার ওঠাপড়া হতেই পারে।'
গত ২৭ ডিসেম্বর রাহুল গান্ধী ভারতে টুইটারের প্রধানকে একটি চিঠি পাঠান। সেই চিঠিতে তার টুইটার অ্যাকাউন্টে ফলোয়ার্সের সঙ্গে মোদী, অমিত শাহ ও শশি থারুরের ফলোয়ার্স সংখ্যার তুলনা করা হয়েছে। রাহুল গান্ধীর দাবি, ২০২১ সালের প্রথম সাত মাসে তার অ্য়াকাউন্টে ফলোয়ার্স গড়ে ৪ লক্ষ করে বৃদ্ধি পাচ্ছিল। কিন্তু গত অগস্ট মাসে তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট আট দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়ার পরই, সেই ফলোয়ার্সের সংখ্যা অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। ওই সময়ে অন্য রাজনৈতিক নেতাদের অ্যাকাউন্টে ফলোয়ার্স বৃদ্ধির কথাও উল্লেখ করেছেন রাহুল।
চিঠিতে রাহুল বলেন, 'আমি আগেও টুইটার ইন্ডিয়ার কর্মীদের কাছ থেকে জানতে পেরেছিলাম যে সরকারের তরফে তাদের উপর প্রবল চাপ তৈরি করা হচ্ছে আমার কন্ঠস্বর অবরুদ্ধ করার জন্য। বিনা কারণেই আমার অ্যাকাউন্টও কয়েকদিনের জন্য ব্লক করে দেওয়া হয়েছিল। সরকারি অ্যাকাউন্ট সহ একাধিক টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ওই ছবিই পোস্ট করা হয়েছিল, কিন্তু সেই অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করা হয়নি। শুধুমাত্র আমার অ্যাকাউন্টকেই নিশানা বানানো হয়েছিল। আমি ১০ কোটি ভারতীয়ের হয়ে বলছি, ভারতের চিন্তাধারাকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টায় তুরুপের তাস হবেন না।'
টুইটারের ব্যাখ্যা খারিজ করেছে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধীর ডিজিটাল কমিউনিকেশনের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, এটা কখনওই সন্তোষজনক ব্যাখ্যা হতে পারে না। টুইটার যে দাবি করছে, তার সঙ্গে ফলোয়ার্স কমার গতিবিধি মিল নেই।
Read in English