ভারতে কর্মরত সংস্থার কর্মীদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল টুইটার কর্তৃপক্ষ। সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, ভারতে সাম্প্রতিক ঘটনার প্রেক্ষিতে আমরা এ দেশে আমাদের সংস্থায় কর্মরতকর্মীদের নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। এছাড়াও বলা হয়েছে, বিষয়টি টুইটারের গ্রহকদের ভাবপ্রকাশের স্বাধীনতার উপর সম্ভাব্য হুমকি।
গত সোমবার গুরুগ্রামে অবস্থিত টুইটারের অফিসে অভিযান চালায় দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল। গুরুগ্রাম ছাড়াও দিল্লি এনসিআর এলাকায় অবস্থিত লাডো সারাইতে থাকা টুইটারের আরও একটি অফিসে অভিযান চালানো হয়। জানা গিয়েছে কংগ্রেসের টুলকিট কাণ্ডে বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্রের টুইটকে 'ম্যানিপুলেটেড মিডিয়া' ট্যাগ সংক্রান্ত মামলায় তদন্তের স্বার্থে এই অভিযান চালানো হয়েছিল। য়া ঘিরেই বিতর্ত দানা বাঁধে। এরপরই টুইটারের দাবি যথেষ্ট তাৎপর্যবাহী বলে মনে করা হচ্ছে।
কৃষক আন্দোলন নিয়ে সমালোচনা বন্ধ করতে তৎপর মোদী সরকার। জানা গিয়েছে, এই জাতীয় যেসব পোস্ট টুইটারে রয়েছে তা ব্লক করে দিতে বলেছে প্রযুক্তি মন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে একথা বলা পরই গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ভারত সরকার ও টুইটার কর্তৃপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। তারই মধ্যে বারতে জারি করা নয়া প্রযুক্তি আইন মানতে নারাজের কথা জানিয়েছিল সংস্থাটি। উল্লেখ্য, তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত নতুন নিয়ম-কানুনের সমালোচনায় অন্যান্য আন্তর্জাতিক ব্যবসা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগ দিয়েছে টুইটার। তাদের অভিযোগ, খোলামেলা আলোচনা দমন করা হচ্ছে।
ভারত সরকারের সঙ্গে সহযোগিতার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে চায় টুইটার।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন