সোমবারই টুইটার ইন্ডিয়া প্রকাশিত ভারতের বিকৃত মানচিত্র ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। এই ঘটনায় টুইটারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মণীশ মাহেশ্বরীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করলো উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। খুরজানগর থানায় বজরং দলের এক শীর্ষ কর্মীর অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এই এফআইআর করা হয়েছে।
ভারতের মানচিত্রের বাইরে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ! সোমবার টুইটারের ‘টুইট লাইফ’ অংশে বিতর্কিত এই মানচিক্রটি ছিল। যা ঘিরেই নতুন করে বিতর্ক মাথাচাড়া দেয়। ক্ষোভে ফেটে পড়েন নেটিজেনরা। পরে অবশ্য ওই বিকৃত মানচিত্রটি সরিয়ে দেয় টুইটার। কিন্তু, তাতেও ক্ষোভ কমেনি। এমনিতেই ডিজিটাল আইনকে কেন্দ্র করে টুইটার ইন্ডিয়ার সঙ্গে কেন্দ্রের সম্পর্ক তলানীতে। ফলে মনে করা বিকৃত মানচিত্র প্রকাশের জন্য ভারত সরকারই টুইটার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু ঘটনার ২৪ ঘন্টা না পেরোতেই পদক্ষেপ কর ল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। আটক করা হল টুইটারের ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে।
বজরং দলের উত্তরপ্রদেশ পশ্চিমাঞ্চলের আহ্বায়ক প্রবীণ ভাতির এফআইআর দায়ের করেন টুইটারের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে টুইটার ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মণীশ মহেশ্বরী এবং নিউজ পার্টানশিপ হেড অমৃতা ত্রিপাঠীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ড বিধির ৫০৫ (২) এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইন (সংশোধিত) আইন, ২০০৮-এর ৭৪ নং ধারার আওতায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ভারত সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, বিকৃত মানচিত্র ইস্যুটি শীর্ষস্তরে নজর রাখা হয়েছে। দ্রুত এবিষয়ে টুইটার ইন্ডিয়ার ব্যাখ্যা তলব করা হবে। এই ইস্যুতে ই-মেইলে টুইটার ইন্ডিয়ার মতামত জানতে চাওয়া হলেও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
এই প্রথম নয়। এর আগে তিন বার বিকৃত ভারতীয় মানচিত্র প্রকাশ করেছে টুইটার। গত বছর অক্টোবর-নভেম্বরেই ভারতের কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল লাদাখের অংশ লেহ-কে চিনের অংশ বলে তুলে ধরেছিল টুইটার লোকেশন সার্ভিস। পরে এইকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চায় টুইটার। যদিও একমাস পরে দেখা যায়, লেহ কেন্দ্র শাসিত লাদাখের বদলে জম্মু-কাশ্মীরের অংশ।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রের গাইডলাইন না মানার জেরে আগেই আইনি রক্ষাকবচ হারিয়েছে টুইটার। নয়া তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৭৯ নম্বর ধারায় এই মাইক্রোব্লগিং সাইট আইনি রক্ষাকবচ পেত। কিন্তু যেসব সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম সরকারি গাইডলাইন এখনও পর্যন্ত মানেনি তারা মধ্যস্থতাকারী স্বত্বা হারাবে। এবার থেকে টুইটারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায় যে কোনও ফৌজদারি মামলা করা যাবে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন