Advertisment

অ্যাপেল সেলস ম্যানেজার হত্যাকাণ্ডে কনস্টেবলকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ করায় সাসপেন্ড দুই পুলিশ কর্মী

এর আগেও বিবেক তেওয়ারি হত্যাকাণ্ডে কনস্টেবল প্রশান্ত চৌধুরীকে গ্রেফতারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোয় এক পুলিশ ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে। 

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

শুক্রবার রাতে পুলিশের গুলিতে মারা যান বিবেক।

অ্যাপেল কোম্পানির এক কর্মচারীকে গুলি করে মারার অপরাধে দিন দশেক আগে গ্রেফতার এবং খুনের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন উত্তর প্রদেশ পুলিশের এক কনস্টেবল। ওই কনস্টেবলের গ্রেফতারের প্রতিবাদে গাজীপুরের জামানিয়া থানার অন্য  দুই কনস্টেবল হাতে কালো ফেট্টি বেঁধেছিলেন। বিশৃঙ্খলতার অভিযোগে রবিবার ওই দুই পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়।

Advertisment

গাজীপুর থানার এসপি ইয়শ ভির সিং সাংবাদিকদের বলেছেন, "আমাদের কাছে খবর এসেছিল জামানিয়া থানার জনা কয়েক  কনস্টেবল হাতে কালো ফিতে বেঁধে কাজে এসেছিলেন। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কেশব দত্ত পাণ্ডে এবং মহম্মদ শাদাব সিদ্দিকিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে"।

এর আগেও বিবেক তেওয়ারি হত্যাকাণ্ডে এক কনস্টেবল প্রশান্ত চৌধুরীকে গ্রেফতারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোয় এক পুলিশ ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন, মৃত অ্যাপেল এক্সিকিউটিভের পরিবারের পাশে যোগী আদিত্যনাথ

গত মাসের ২৮ তারিখ খুন হন অ্যাপেলের সেলস ম্যানেজার বিবেক তেওয়ারি। ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার রাত ১.৩০ নাগাদ। সহকর্মী সানা খানের সঙ্গে আইফোন এক্স প্লাস লঞ্চের পর বাড়ি ফিরছিলেন বিবেক। সানা জানিয়েছেন, প্রথমবার গুলি চালানোর শব্দে তিওয়ারি ভয় পেয়ে গিয়ে চলন্ত গাড়ি নিয়ে এক আন্ডারপাসের স্তম্ভে গিয়ে ধাক্কা মারেন, যার ফলে আরও বেশি আঘাত পান তিনি।

সানা থাকেন লখনউয়ের কাছে, ভাড়া করা এক অ্যাপার্টমেন্টে। তাঁর আসল বাড়ি এবং তাঁর বর্তমান বাসস্থানের বিস্তারিত বিবরণ তাঁর অনুরোধক্রমেই গোপন রাখা হয়েছে। সানার বয়ানে, ‘‘ওরা মারমুখী ভঙ্গিতে তেড়ে এসেছিল, বাইক পার্ক করে আমাদের গাড়ি দাঁড় করাতে বলেছিল, আমাদের গাড়ি থেকে নেমে আসতে বলছিল। এক কনস্টেবল গাড়ির মধ্যে লাঠি ঢুকিয়ে দিচ্ছিল, এই সব যখন হচ্চিল তখন স্যারের মনে হয়েছিল গাড়ি থামানো ঠিক হবে না।’’

সানা জানিয়েছেন, বিবেক তেওয়ারি গাড়ি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ধাক্কা লেগে বাইক পড়ে যায়। ‘‘পুলিশরা অন্য দিকে দাঁড়িয়েছিল। স্যার গাড়ি নিয়ে এগোনোর চেষ্টা করলে যে বাইকে বসেছিল সে বাইক দাঁড় করিয়ে স্যারকে গুলি করে। স্যার আরও কয়েক মিনিট গাড়ি নিয়ে এগোন, তার পর গাড়ি দেওয়ালে ধাক্কা মারে। তখন ওঁর প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।’’ সানা জানিয়েছেন বিবেক তেওয়ারির তখন নিঃশ্বাস পড়ছিল কিন্তু তিনি কথা বলতে পারছিলেন না।"

Advertisment