কলকাতায় গঙ্গার ঘাটে পুণ্য়লাভের আশায় পিতৃপুরুষের উদ্দেশে তর্পণ করতে সোমবার হাজির হয়েছিলেন হাজার হাজার পুণ্য়ার্থী। মহানগরে এখন পর্যন্ত কোনও দুর্ঘটনার খবর না মিললেও মহালয়ার সাতসকালেই দুটি দুর্ঘটনা ঘটে গেল হুগলি জেলায়। তর্পণ করতে গিয়ে গঙ্গায় তলিয়ে গেলেন দুজন। একজন তলিয়ে গিয়েছেন হিন্দমোটরের বটতলা ঘাটে। অন্য় ঘটনাটি ঘটেছে শেওড়াফুলির ঘাটে। একজনের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হলেও অপরজন এখনও নিখোঁজ। দ্বিতীয় দেহ উদ্ধারের জন্য় তল্লাশি চলছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলির হিন্দমোটরের বটতলা ঘাটে পিতৃপুরুষের উদ্দেশে তর্পণ করতে নেমেছিলেন সুবোধ যশ। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্য়ালয়ে অধ্য়াপনা করতেন তিনি। তর্পণ করার সময় হঠাৎই পা পিছলে জলে পড়ে যান সুবোধবাবু। ভরা গঙ্গায় ডুবে গিয়ে আর উঠতে পারেননি তিনি। তখন বটতলা ঘাটের তর্পণ করতে থাকা বাকিরা চিৎকার-চেঁচামেচি জুড়ে দেন। খবর পেয়ে ছুটে আসেন উদ্ধারকারী দল। ঘটনার পর পরই গঙ্গায় নেমে উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু করে দেন তাঁরা। সূত্রের খবর, বেশ কিছুক্ষণের প্রচেষ্টায় সুবোধবাবুর দেহ উদ্ধার হয়।
আরও পড়ুন: অমাবস্যা যখনই হোক, ঊষালগ্নে তর্পণে কোনও বাধা নেই
এদিন দূরদূরান্ত থেকে হুগলীতে গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে বহু পুণ্যার্থী তর্পণ করতে আসেন। তর্পণ চলাকালীন দ্বিতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটে শেওড়াফুলিতে। পুলিশ জানিয়েছে, তারকেশ্বরের ব্যবসায়ী সন্দীপ সাঁতরা পিতৃপক্ষের তর্পণ করছিলেন। হঠাৎই জলের তোড়ে নিজেকে সামলে নিতে পারেন নি। তলিয়ে যান গঙ্গায়। সন্দীপবাবুর দেহ উদ্ধারের কাজ চলছে।
এদিকে প্রতি বছরের মতই কলকাতায় গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে সকাল থেকে তিল তর্পণ করতে ভিড় করেন অজস্র মানুষ। বাবুঘাট, আহিরীটোলা সহ বিভিন্ন ঘাটে যথেষ্ট ভিড় লক্ষা করা যায়। পুণ্য়ার্থীরা ভিড় করেছেন বেলুড়েও। নিরাপদে তর্পন সম্পন্ন করার জন্য় প্রশাসন নানা ব্য়বস্থা গ্রহণ করেছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দল থেকে ডুবুরি, সবাই হাজির গঙ্গার ঘাটে। উত্তর ও দক্ষিণ বন্দর থানা সবরকম নিরাপত্তা ব্য়বস্থা নিয়েছে। ভুটভুটিও হাজির উদ্ধার কাজের জন্য়। রয়েছে রিভার ট্রাফিক পুলিশও। এখনও পর্যন্ত কলকাতা সংলগ্ন গঙ্গার ঘাটে নির্বিঘ্নেই চলছে তর্পণ।