যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত আকবরের পাশে দুই সহকর্মী

এম জে আকবরের পাশে দাঁড়ালেন তাঁরই দুই সহকর্মী। আকবরের সম্মান মাটিতে মেশানো হয়েছে বলে তোপ দেগেছেন সাংবাদিক ভিনু স্যান্ডেল। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর হয়ে সওয়াল করেছেন ব্যবসায়ী সুনীল গুজরালও।

এম জে আকবরের পাশে দাঁড়ালেন তাঁরই দুই সহকর্মী। আকবরের সম্মান মাটিতে মেশানো হয়েছে বলে তোপ দেগেছেন সাংবাদিক ভিনু স্যান্ডেল। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর হয়ে সওয়াল করেছেন ব্যবসায়ী সুনীল গুজরালও।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
m j akbar, এম জে আকবর

যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত এম জে আকবর। ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

যৌন হেনস্থার অভিযোগে বিদ্ধ এম জে আকবরের পাশে দাঁড়ালেন তাঁরই দুই সহকর্মী। আকবরের সম্মান মাটিতে মেশানো হয়েছে বলে তোপ দেগেছেন সাংবাদিক ভিনু স্যান্ডেল। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর হয়ে সওয়াল করেছেন ব্যবসায়ী সুনীল গুজরালও। শুক্রবার আকবরের দায়ের করা মানহানির মামলার সমর্থন জানিয়ে ওই দুই সহকর্মী জবানবন্দিতে জানিয়েছেন যে, ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যেই এসব রটানো হয়েছে।

Advertisment

সাংবাদিক ভিনু স্যান্ডেল জানিয়েছেন যে, ১৯৯৪-৯৫ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনি দ্য এশিয়ান এজে কাজ করেছিলেন। তাঁর কাছে বহু সহকর্মীই তাঁদের সমস্যার কথা বলতেন। কিন্তু কখনই আকবরের বিরুদ্ধে এমন কোনও অভিযোগ তিনি শোনেননি। তিনি আরও বলেছেন যে, সাংবাদিক প্রিয়া রামানি আকবরের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছেন, তা শুনে তিনি চমকে গিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, আকবরের সম্মানহানির জন্যই এসব করা হয়েছে।

আরও পড়ুন, #MeToo মামলা করে চুপ করাতে চাইছেন আকবর, লড়াই জারি থাকবে: প্রিয়া রামানি

ভিনু স্যান্ডেলের মতোই আকবরের পাশে দাঁড়িয়েছেন সুনীল গুজরাল নামের এক ব্যবসায়ী। তিনিও ওই মানহানির মামলায় সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি পেশ করেন। গুজরাল জানিয়েছেন যে, ১৯৮০ সাল থেকে আকবরকে চেনেন তিনি। তিন বছর তাঁর সঙ্গে কাজ করেছেন গুজরাল। তিনি বলেছেন, ‘‘একজন বন্ধু ও সহকর্মী হিসেবে আমি কখনও কোনও এধরনের কথা শুনিনি।’’ এর আগে, দ্য সানডে গার্ডিয়ানের সম্পাদক জয়িতা বসু সাক্ষী হিসেবে আদালতে বলেছিলেন যে, আকবরের ভাবমূর্তি নষ্ট করার উদ্দেশ্যেই রামানি টুইটগুলো করেছিলেন।

Advertisment

উল্লেখ্য, এম জে আকবর তাঁর যৌন হেনস্থা করেছেন বলে অভিযোগ তুলে একটি ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে সরব হন প্রিয়া রামানি। যদিও ওই প্রতিবেদনে আকবরের নাম নেননি তিনি। কিন্তু আকবরকে ইঙ্গিত করেই একথা লেখেন। গত ৮ অক্টোবর টুইট করে রামানি আকবরের নাম উল্লেখ করেন। এরপর গত ১৭ অক্টোবর কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন আকবর। একইসঙ্গে রামানির বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ দায়ের করেন। আগামী ১১ জানুয়ারি এ মামলার পরবর্তী শুনানি।

Read the full story in English

national news