পাঁচশোরও বেশি দেশের ওয়েবসাইটে হানা দিয়েছিলেন ওঁরা। পুলিশের দাবি, এরই পাশাপাশি, দেশ বিরোধী পোস্ট করার মতো গুরুতর অপরাধমূলক কাজেও জড়িত ছিলেন। এই জোড়া অভিযোগের ভিত্তিতেই শুক্রবার কাশ্মীরের দুই পড়ুয়াকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। ধৃত দু’জনের মধ্যে আদিল তেলি নামের বছর তেইশের যুবকটির বাড়ি জম্মু-কাশ্মীরের কুলগাম জেলায়। এবং, অন্য অভিযুক্ত বছর সাতাশের শাহিদ মাল্লার বাড়ি বারামুলায় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
এরইমধ্যে ধৃতদের সম্পর্কে বহু চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে পুলিশ। তাঁদের দাবি অনুযায়ী, ধৃত দুই কাশ্মীরি পড়ুয়ার সঙ্গে পাকিস্তানের হ্যাকারদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। এমনকি, সে রাজ্যের সোশ্যাল মিডিয়ায় নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কাশ্মীরের যুবকদের রীতিমতো প্রশিক্ষণও দিত বলে দাবি করেছে পুলিশ। ২০১৭ সালের এপ্রিল-মে মাস নাগাদ ওই দুই পড়ুয়া এসমস্ত করেছিলেন বলে দাবি করে দিল্লি পুলিশ।
আরও পড়ুন, ত্রালে গুলির লড়াইয়ে নিহত মাসুদ আজহার ঘনিষ্ঠ ইয়াসির, জানাল পুলিশ
ধৃত দুই পড়ুয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার কেপিএস মালহোত্রা। ধৃতদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল, সিম কার্ড, ইন্টারনেট ডঙ্গল এবং মেমরি ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত সমস্ত সামগ্রী ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন, ঐশ্বর্য রাই দেশের মুখ, কিন্তু ডায়না হেডেন কেন মিস ওয়ার্ল্ড? ফের বিতর্কে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, আদিল ও শাহিদ মিলে একদা দল চালাত, যার নাম ‘টিম হ্যাকার্স থার্ড আই’। অন্যদিকে আদিল আলাদা করে কয়েকজন সহযোগীর সঙ্গে ‘টিম কাশ্মরি হ্যাকার্স’ নামে আরেকটি দলও চালাত বলে দাবি করেছে পুলিশ। তাঁদের আরও দাবি, এখনও অব্দি এই দুই অভিযুক্ত পাঁচশোরও বেশি সরকারি সাইট হ্যাক করার পাশাপাশি দেশ বিরোধী স্লোগান প্রচারের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে।
আরও পড়ুন, ওড়িশার পটনাগড় বিস্ফোরণের ঘটনায় পাকড়াও মূল অভিযুক্ত
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার একটি অভিযোগের ভিত্তিতে জলন্ধর থেকে আদিলকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। এর পরপরই অন্য একটি জায়গা থেকে গ্রেফতার করা হয় আরেক পড়ুয়া শাহিদকে। জলন্ধরে সেন্ট সোলজার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে বিসিএ কোর্সে আদিল ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্র। অন্যদিকে শাহিদ রাজপুরার আরিয়ান গ্রুপ অফ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। শাহিদ বি-টেক করছেন বলে জানা গেছে।