'অযোধ্যায় গড়ে উঠুক রামন্দির'। এমনটাই বাসনা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা যতীন প্রসাদ ও উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াতের।
'অযোধ্যায় গড়ে উঠুক রামন্দির'। এমনটাই বাসনা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা যতীন প্রসাদ ও উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াতের। তবে, বিতর্ক এড়াতে তাদের সাফাই, 'অযোধ্যা ইস্যুতে আদালতের নির্দেশ সবার মেনে নেওয়া উচিত'। দলের দুই প্রথম সারির নেতার মুখে প্রতিপক্ষ বিজেপির দাবির প্রতিফলন। স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তি বাড়ল কংগ্রেসের।
Advertisment
নভেম্বরেই আযোধ্যা জমি সংক্রান্ত মামলার রায় দিতে পারে সুপ্রিম কোর্ট। কী রায় হতে পারে? জল্পনা দেশজুড়ে। এরই মাঝে হিন্দি বলয়ের দুই কংগ্রেস নেতার মুখে রাম মন্দির নির্মাণের প্রসঙ্গ। যতীন প্রসাদ বলেন, 'একজন হিন্দু হয়ে আমি অবশ্যই চাইব অযোধ্যায় রাম মন্দির গড়ে উঠুক। তবে আদলত যা রায় দেবে তা সবার মেনে নেওয়া উচিত। যত দ্রুত রায় প্রকাশ পাবে ততই ভাল।'
অন্যদিকে, উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা হরিশ রাওয়াতের কথায়, 'কেবল হিন্দুরাই নয়, দেশের মপসলিম ভাইদের জিজ্ঞাসা করা হলেও তাঁরা বলবেন অযোধ্যায় রাম মন্দির গড়ে উঠুক।' এরপরই তিনি বলেন, 'তবে আমার কথাই শেষ নয়। সুপ্রিম কোর্ট যা রায় দেবে সেটা বলবৎ করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ ভূমিকা থাকার কথা।' কংগ্রেস এর আগে অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরি পরিকল্পনা করলেও বিজেপি ও অতি হিন্দুত্ববাদী দলগুলির ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির ফলে তা ভেস্তে যায় বলে দাবি করেন রাওয়াত।
প্রসাদ ও রাওয়াতের বাসনাকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে নারাজ কংগ্রেস। দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনার জন্য সদ্য একটি কমিটি গঠন করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। সেখানে অযোধ্যা ইস্যুতে দলের কি ভূমিকা হবে তা নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা। তার আগেই দলের দুই নেতার মন্তব্য ঘিরে বেকায়দায় গাত শিবির। দলের প্রবীণ নেতা সলমন খুরশিদের মতে, 'আমাদের সকলের সুপ্রিম কোর্টের উপর ভরসা রাখা উচিত। আদালতের রায়ই এই বিতর্কিত ইস্যু দিয়ে মতভেদ দূর করতে পারে।' আসামের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কথায় 'সবার জানা উচিত এই ইস্যু কতটা স্পর্শকাতর। তাই আগ বাড়িয়ে মন্তব্য করার প্রয়োজন নেই।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে কংগ্রেস নেতা ও রাজ্যসভার সাংসদ বলেন, 'অযোধ্য়া ইস্যুতে বাদি-বিবাদী কোনও পক্ষই কোনও কিছু নির্নয় করতে পারবে না। আদালতেই রায়ই চূড়ান্ত। দশকের পর দশক ধরে এই মামলা আদলতের বিচারাধীন। তাই যত দ্রুত নিষ্পত্তি হবে ততই মঙ্গল।' তবে, প্রসাদ ও রাওয়াতের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক যে দানা বেঁধেছে তা স্পষ্ট।