Pune Murder: সিআইডি থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে বৃদ্ধাকে খুন এবং ডাকাতিতে অভিযুক্ত দুই কিশোর। ৩০ অক্টোবর প্রবীণ শালিনী সোনাওয়ানাকে খুনের অভিযোগে আটক ১৬ এবং ১৪ বছরের দুই অভিযুক্ত। পুনের হিঙে খুর্দ এলাকার শায়ালি আবাসন থেকে উদ্ধার করা হয় শালিনী দেবীর দেহ। মৃতদেহ উদ্ধারের সময় তাঁর মাথায় আঘাত ছিল। তাঁর ছেলের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে স্থানীয় থানা। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, নগদ এবং সোনার গয়না মিলিয়ে প্রায় ১.৬ লক্ষ টাকা খোওয়া গিয়েছে। অজ্ঞাত পরিচয় আততায়ীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
স্থানীয় থানার ইনস্পেক্টরে নেতৃত্বে তৈরি হয় দুই সদস্যের তদন্তকারী দল। খুনের পর তিন দিন কেটে গেলেও অন্ধকারে হাতড়াতে থাকে পুলিশ। এরই মধ্যে অপর এক পুলিশকর্মী উজ্জ্বল মোকাশি প্রথম সুত্র তদন্তকারীদের হাতে তুলে দেন। ঘতনাস্থল লাগোয়া এক মন্দিরের মাঠে প্রতিদিন শিশু-কিশোররা ভিড় করতেন। ঘটনার দিন বিকেলে তাদের মধ্যে একটি দল, খেলা শেষে পানিপুরি খাওয়ার পরিকল্পনা করে। কিন্তু প্রত্যেকে সেই পরিকল্পনায় শামিল হলেও, দু’জন তাড়া দেখিয়ে বাড়ি চলে যায়। গল্পের ছলে এই কথা পুলিশকর্মী উজ্জ্বলকে বলে ওই কিশোররা।
এতেই সন্দেহ হয় পুলিশের। ওই দুই কিশোরের উপ্র নজরদারি শুরু হয়। আশপাশের সিসিটিভি দেখে ওই দু’জনের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয় পুলিশের। তারপরেই আটক করা হয় দুই জনকে।
পুলিশি জেরায় তারা অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে। পুনে পুলিশ সূত্রে খবর, রীতিমতো রেকি করে এই দুষ্কর্ম করেছে ওই দুই কিশোর। মৃতার গতিবিধি, কোথাও টাকা-গয়না রাখা হয়, এসব খোঁজ নিয়েই তারা ডাকাতির উদ্দেশে ঢুকেছিল। তারপরেই বৃদ্ধাকে খুনের পর ডাকাতি করে চম্পট দেয় তারা। পুলিশকে দুই অভিযুক্ত আরও জানিয়েছে, জনপ্রিয় সিআইডি-র কয়েকটি পর্ব থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েই তারা এই খুন-ডাকাতির ছক কষে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন