অসমে ভয়াবহ বন্যায় মৃত বেড়ে ৩০, গৃহহীন প্রায় ৬ লক্ষ মানুষ

বৃহস্পতিবারও বন্যায় এক শিশু সহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্যের দুর্যোগ মোকাবিলা দফতর।

বৃহস্পতিবারও বন্যায় এক শিশু সহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্যের দুর্যোগ মোকাবিলা দফতর।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Floods in Assam, Assam Floods 2022

অসমে ভয়াবহ বন্যা। তার জেরেই গৃহহীন প্রায় ৬ লক্ষ মানুষ। বন্যার জেরে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। পরিস্থিতি এমনই যে স্রোতের তোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেনের অনেকগুলো বগির উল্টে যাওয়ার ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবারও বন্যায় এক শিশু সহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্যের দুর্যোগ মোকাবিলা দফতর।

Advertisment

সাত জেলায় ইতিমধ্যেই বন্যার কবলে ৫লক্ষ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ ঘরছাড়া। রাজ্যের দুর্যোগ মোকাবিলা দফতর সূত্রে পাওয়া খবর অনুসারে জানা  গিয়েছে বন্যার কারণে ভুমিধস সহ নানান কারণে এখনও পর্যন্ত মোট ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। কাছাড়, ডিমা হাসাও, হাইলাকান্দি, হোজাই, কার্বি আংলং পশ্চিম, মরিগাঁও জেলায় ভূমিধসে ৫ লক্ষ ৬১ হাজার ১০০ জনের বেশি মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। নগাঁও’র পরিস্থিতি সব থেকে ভয়াবহ।

সেখানেই শুধু গৃহহীনের সংখ্যা ৩.৬৮ লক্ষ। তারপরে কাছাড়, জেলায় বন্যার কারণে গৃহহীন হয়ে পড়েছেন প্রায় ১.৫ লক্ষ মানুষ। রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি এবং সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে রাজ্যে পৌঁছেছে কেন্দ্রের দুটি দল। বর্তমানে প্রায় হাজারের বেশি গ্রাম এখনও জলের তলায় রয়েছে।

বন্যার কারণে রাজ্য জুড়ে প্রায় ৪৭,১৩৯.১২ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। রাজ্যের ৬ জেলায় খোলা হয়েছে প্রায় সাড়ে তিনশো’র বেশি ত্রাণ শিবির। সেখানে ১৩ হাজার ৯৮৮ জন শিশু সহ প্রায় ৬৭ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। ধুবরি, ডিব্রুগড়, গোলাঘাট, নলবাড়ি, শিবসাগর, দক্ষিণ সালমারা, তিনসুকিয়া এবং উদালগুড়ি জেলায় ব্যাপক ভাঙ্গনের খবর মিলেছে। একাধিক এলাকার জলস্তর এখনও বিপদ সীমার ওপর দিয়ে বইছে। বন্যার কারণে ২ লক্ষের কাছাকাছি গবাদি পশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ভারী বৃষ্টি এবং ধসের জেরে গত শনিবার থেকে লামডিং-বদরপুর রুটে ১৮টি ট্রেন বাতিল হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে রেললাইন মেরামতির কাজ ।

Advertisment

আরও পড়ুন: আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যেই কেরলে ঢুকছে বর্ষা, জানাল আবহাওয়া দফতর

ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে ডিমা হাসাও, হাইলাকান্দি এবং করিমগঞ্জ। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জাতীয়সড়ক এবং পাঁচটি রাজ্যসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত । বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। লামডিং-বদরপুর এলাকায় ৫০টির বেশি স্থানে ভুমিধসের কারণে ত্রিপুরা, মণিপুর, মিজোরাম এবং দক্ষিণ আসামের বিস্তীর্ণ অংশে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

বন্যার কারণে বাতিল করা হয়েছে একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষাও। রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা এই বিষয়ে এক নির্দেশিকা জারি করেছে। নির্দেশে জানানো হয়েছে ১ জুন পর্যন্ত সকল পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। 

Read in English

Assam Flood Situation