হায়দ্রাবাদে কিশোরীকে গণধর্ষণ কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য- রাজনীতি। জন্মদিনের পার্টি থেকে ফেরার পথে চরম লালসার শিকার হতে হয়েছিল বছর ১৭ এর এক কিশোরীকে। এই ঘটনায় উঠে এসেছে ভিআইপি যোগ। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশের তরফে গড়িমসিরও অভিযোগ ওঠে। হায়দ্রাবাদ পুলিশ এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছে, গণধর্ষণে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজন কিশোরের মধ্যে তিন জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদেরও দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে ধৃতদের মধ্যে একজন, সাদুদ্দিন মালিক তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির এক বিধায়কের ছেলে। এই ঘটনায় যখন উত্তাল রাজ্য ঠিক তখনই হায়দ্রাবাদে আরও ২ নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সামনে এসেছে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ।
১১ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ক্যাব চালক শাইক কলিম আলি (৩৬) এবং তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু মোঃ লুকমান আহমেদ (৩৬) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ৩১ মে, মামার বাড়ি থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয় সপ্তম শ্রেণীর ওই ছাত্রী। এই মর্মে থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরিও করেন মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ সূত্রে খবর মেয়েটি যখন অটো স্ট্যান্ডে অপেক্ষা করছিল সে সময় ক্যাব চালক আলি ও তার বন্ধু মেয়েটিকে বাড়িতে ছাড়ার প্রস্তাব দিয়ে গাড়িতে তোলে। তারপর তার ওপর চালানো হয় নির্মম অত্যাচার। ঘটনার কথা কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয় মেয়েটিকে।
আত্মীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে, পুলিশ প্রাথমিকভাবে একটি অপহরণের মামলা দায়ের করে পরে ১ জুন বাড়ি ফিরে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয় তাতেই ধর্ষণের প্রমাণ মেলে। এরপরই অভিযুক্তদের ধরতে উঠে পড়ে লাগে পুলিশ। ধৃত ২ জনের বিরুদ্ধে পসকো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : নয়া আতঙ্ক নরভাইরাস! ইতিমধ্যে ভারতে আক্রান্ত ২ শিশু, জারি সতর্কতা
অন্য একটি ঘটনায়, নাবালিকাকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মো. সুফিয়ান (২১) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, দোকানে কাজের নাম করে মেয়েটির সঙ্গে দেখা করে অভিযুক্ত যুবক, এরপর ফাঁকা স্থানে নিয়ে গিয়ে তার ওপর অত্যাচার চালানো হয়। এই ঘটনাতেও পুলিশ ধৃতের বিরুদ্ধে পসকো আইনে মামলা দায়ের করেছে।