Bihar: বিহারে ফের বিষমদ-কাণ্ডের ছায়ায় বলি দুই। সেই রাজ্যের মুজফফরপুর জেলার এই ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন দুই। জেলার এসএসপি জয়ন্তকান্ত বলেন, ‘সোমবারের এই ঘটনায় দুই মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। দুই জনেই একই গ্রামের বাসিন্দা। আমরা মৃতদের পরিবারবর্গের সঙ্গে কথা বলছি। যারা অসুস্থ তাঁদের সঙ্গেও কথা বলা হবে। তারপর নিশ্চিত হতে পারব, এটা আদৌ বিষমদে মৃত্যুর ঘটনা কিনা।‘ দীপাবলির সময়ে রাজ্যের তিন জেলায় বিষমদ খেয়ে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তার কয়েকদিনের মধ্যেই ফের এই মৃত্যুর খবরে জেলাজুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ।
যদিও জেলার এক পুলিশকর্তা বলেছেন, ‘আমার কয়েকদিন ধরে অবৈধ স্পিরিট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি। যারা আইন ভেঙে মদ বিক্রি করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।‘ প্রায় সাড়ে ৫ বছর আগে বিহারে সব ধরনের মদ নিষিদ্ধ করেছে নীতিশ কুমার সরকার।
এদিকে, মাস দেড়েক আগে সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছে আলিপুর আদালত। আগেই চারজনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। বেকসুর খালাস পেয়েছিলেন ৬ জন। সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ডে খোঁড়া বাদশা-সহ চারজন দোষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আলিপুর আদালত। তাদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। রায় শোনার পরই আদালত চত্বরে ভেঙে পড়েন দোষীদের আত্মীয়রা। তাঁদের পরিবারের দাবি, ইচ্ছে করে ফাঁসানো হয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ড ঘটে। বিষমদ খেয়ে মৃত্যু হয় মগরাহাট, উস্তি-সহ ডায়মন্ড হারবার মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় ১৭৩ জনের। এই ঘটনায় মগরাহাট এবং উস্তি থানাতে দু’টি পৃথক মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরে তদন্তের দায়িত্বভার যায় সিআইডি-র হাতে। তদন্তে জানা যায়, যে চোলাই মদ খেয়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, সেই চোলাই মদ বানাত কুখ্যাত ডন নূর ইসলাম ওরফে ফকির ওরফে খোঁড়া বাদশা।এই ঘটনা সংগ্রামপুর বিষমদকাণ্ড নামে পরিচিত। রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। নিহতদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন