নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত দুই যুবক পালাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত। ঘটনাটি ঘটেছে অসমে। বুধবার পুলিশ জানিয়েছে, প্রথম ঘটনায় ৩৮ বছরের এক যুবক এক নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত পুলিশ হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিল। তখনই পুলিশের গুলিতে নিহত হয় অভিযুক্ত উদালগুড়ি জেলার মাজবাত এলাকার এই ঘটনা।
উদালগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিদ্যুৎ দাস বোরো জানিয়েছেন, অভিযুক্ত মঙ্গলবার রাতে বাইহাটার একটি লোহার কারখানায় লুকিয়ে ছিল। সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গভীর রাত ২.৩০ নাগাদ অপরাধস্থলে তাকে নিয়ে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টা করে। তখনই এনকাউন্টারে নিহত হয় অভিযুক্ত।
পুলিশের দাবি, জেরায় প্রথমে নিজের অপরাধ কবুল করে অভিযুক্ত। কিন্তু ক্রাইম সিনে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের জিপ থেকে লাফ মেরে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। এর পর পুলিশ তাকে গুলি করে। পায়ে গুলি লাগে তার। এর পর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন জল ভেবে কীটনাশক মিশিয়ে মদ্যপান, পরপর মৃত্যু, মঙ্গলবারের ঘটনায় এখনও বাকরুদ্ধ ছোট্ট এই গ্রাম
এর আগে মঙ্গলবার একই রকম আরও একটি ঘটনায় গণধর্ষণে অভিযুক্ত এক যুবক গুয়াহাটিতে পালানোর চেষ্টা করেছিল। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে গুয়াহাটির ডিসিপি নবনীত মহন্ত জানিয়েছেন, পাঁচ অভিযুক্তের মধ্যে মূল চক্রীকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয়। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৬ বছরের এক নাবালিকাকে তার বাড়ির সামনে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। একজন সেই ধর্ষণের ভিডিও করেছিল। পরে নির্যাতিতাকে ডেকে পাঠিয়ে অভিযুক্তরা আশ্বাস দেয়, ভিডিও তারা ডিলিট করে দেবে। কিন্তু তখনও পাঁচজন মিলে যৌন নিগ্রহ করে নাবালিকাকে।
গত ৮ মার্চ সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। প্রত্যেককেই গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার মূল চক্রীকে কামরূপ জেলার দামপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। বাকিরা কোথায় লুকিয়ে আছে সেটা দেখাতে নিয়ে যাওয়ার সময় এক মহিলা অফিসারের বন্দুক ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্ত। আটকানোর চেষ্টা হল মহিলা অফিসারকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় অভিযুক্ত। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। আহত অবস্থায় যুবককে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয় তার।