হাথরাসের ঘটনারই যেন পুনরাবৃত্তি। উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ে খেতের মধ্যে উদ্ধার দুই কিশোরীর দেহ শুক্রবার সকালে কড়া পুলিশ নিরাপত্তার মধ্যে সৎকার করা হল। বুধবার রাতে বাবুহারা গ্রামে খেতের মধ্যে পাওয়া গিয়েছিল তিন দলিত কিশোরীর দেহ। গরুর জন্য ঘাসপাতা আনতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি তারা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ১৬ বছরের একজন কিশোরীকে কানপুরে বড় হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।
এদিন সকালে কোমল (১৫) এবং কাজলের (১৪) মৃতদেহ গুলি কবর দেওয়া হয় তাদেরই চাষের খেতে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক ও বিশাল পুলিশ বাহিনী। হাজির ছিলেন জেলা বিজেপির সভাপতি রাজ কিশোর রাওয়াত এবং স্থানীয় বিধায়ক অনিল সিং। যাতে কোনও বাধা বিঘ্ন না আসে, তাই কবর দেওয়ার সময় ব্যারিকেড দিয়ে জায়গা ঘিরে দেয় পুলিশ। স্থানীয় ছটি থানার পুলিশ নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে এলাকায়।
ডিজিপি হিতেশ চন্দ্র আওয়াস্থি বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, চিকিৎসকদের প্যানেল দুই কিশোরীর দেহের ময়নাতদন্ত করেছেন। শরীরে কোনও বাহ্যিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এখনও তাদের মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়। তবে ভিসেরা রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। তিনি আশ্বস্ত করেছেন, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিয়ে তদন্ত এগোচ্ছে। কানপুর হাসপাতালের তরফ তৃতীয় কিশোরীর মেডিক্যাল রিপোর্টে বিষক্রিয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন