বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান জানিয়েছেন, ভারত-সহ বিশ্বের ১০টি দেশে নতুন কোভিড স্ট্রেন BA.2.75-এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর জেরেই দেশগুলিতে সংক্রমণ বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই নতুন স্ট্রেন কতটা শক্তিশালী তা জানতে আরও কিছুদিন এই ভ্যারিয়েন্টকে নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করা দরকার বলেও জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান ডাঃ টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস মঙ্গলবার বিশ্ববাসীকে আরও একবার সতর্ক করে বলেছেন যে দু’বছর অতিক্রান্ত হলেও করোনা ভাইরাসের একের পর এক নয়া স্ট্রেনের দাপটে সারা বিশ্বেই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে যা নতুন করে এই ভাইরাসকে নিয়ে ভাবাতে শুরু করেছে।
WHO প্রধান বলেন, “ভারত সহ একাধিক দেশে করোনার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন! কোভিডের সংখ্যা বৃদ্ধি আমাদের যে ভাবেই হোক আটকাতে হবে তা না হলে স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর ফের একটা চাপ আসতে শুরু করবে। তিনি আরও বলেন গত কয়েক সপ্তাহে সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মৃত্যুও যা নিয়ে নতুন করে সারা বিশ্বের মানুষদের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক কাজ করছে”।
আরও পড়ুন: <ব্রেন ডেড রোগীর শরীরে বসল শূকরের হৃৎপিণ্ড, নজির গড়লেন চিকিৎসকরা>
BA.4 এবং BA.5 ভ্যারিয়েন্টের প্রসঙ্গে হু প্রধান বলেন, এই দুই ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে সারা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বেড়েছে তেমনই বেড়েছে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও। সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে টিকা দেওয়া এবং পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোরও আবেদন করেন তিনি। তিনি বলেন, টিকা লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে । টিকাহীনদের খুঁজে বের করে অবিলম্বে তাদের টিকার আওতায় আনার পক্ষেও জোরালো সওয়াল করেন হু প্রধান।
তিনি বলেন, যে সকল দেশে সংক্রমণ নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে সেই সকল দেশের সরকারের উচিৎ পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি কোভিড আক্রান্তদের খুঁজে বের করা। তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। পাশাপাশি টিকাহীনদের টিকার আওতায় নিয়ে আসা। সেই সঙ্গে তিনি বলেন আমরা আগের থেকে বর্তমানে অনেক ভাল অবস্থানে রয়েছি আমাদের প্রত্যেকের টিকা নেওয়া এবং কোভিড বিধি মেনে চলা উচিৎ”।