মহামারী কালীন সময়ে দিল্লিতে উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পেয়েছে এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা। অন্তত রিপোর্ট তাই বলছে। ২০২০ সালে দিল্লি স্টেট এইডস কন্ট্রোল সোসাইটির রিপোর্ট অনুসারে দিল্লিতে এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৬২৯ অন্যদিকে ২০২১ সালে তা কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৫০০। যদিও এই সংখ্যা কম হওয়ায় উদ্বিগ্ন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। কেন? রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এই সিনিয়র আধিকারিক এপ্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “লকডাউন এবং কোভিডের বৃদ্ধির সময় কম সংখ্যক মানুষ হাসপাতালে যাওয়ার ফলে গত দুই বছরে এইচআইভি শনাক্তকরণ হ্রাস পেয়েছে”।
রিপোর্ট অনুসারে যে সংখ্যা পাওয়া গিয়েছে বাস্তবে সেই সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য দফতর। মহামারী শুরুর আগে প্রতিবছর এই সংখ্যাটা থাকত ৬ হাজারের আশেপাশে। এখন হটাত করে এই সংখ্যা কমে যাওয়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ প্রশাসনের।
দিল্লি সরকারের একজন কর্মকর্তা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, “ এই সংখ্যা কমে যাওয়া ভাল লক্ষণ নয়।এর মানে আমরা কেস সনাক্ত করে উঠতে পারিনি”। করোনা কালীন পরিস্থিতির কারণে এইচআইভি সংক্রান্ত প্রচারাভিযান সহ একাধিক কর্মসূচী স্থগিত রাখতে হয়েছিল। বিশেষ করে সচেতনতামূলক প্রচার আর তাতেই সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরো পড়ুন: দানা বাঁধছে নিম্নচাপ, শক্তি বাড়িয়ে কালই তৈরি হবে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’
তাদের অনেকের মতেই, গত দু বছরে, যৌনকর্মী সহ অন্যান্য উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর ব্যক্তিদের নিয়মিত এইচআইভি পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। অনেকেই কোভিডের কারণে হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা করাতে সাহস পাননি আর তার ফলেই সংখ্যাটাও আগের বছরগুলির তুলনায় অনেকে কমে এসেছে। সেই সঙ্গে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, একজন এইচআইভি আক্রান্তের ক্ষেত্রে উপসর্গ অনেক সময় ১০ বছর পরেও দেখা দিতে পারে তাই পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়াটা ভীষণ ভাবে দরকার। সেই সঙ্গে তারা জানাচ্ছেন দেশের যক্ষ্মা প্রোগ্রাম থেকে ৫% এইচআইভি আক্রান্তের সন্ধান মেলে। তবে জাতীয় যক্ষ্মা কর্মসূচির তথ্য অনুসারে ২০২০ সালে টিবি সনাক্তকরণের হার ২৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
Read story in English