ভারতজুড়ে ইন্টিগ্রেটেড ফুড পার্ক তৈরি হতে চলেছে। এজন্য বিনিয়োগ করবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। সব মিলিয়ে ২০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে চলেছে আমিরশাহি। ভারত-ইজরায়েল-আমেরিকা-সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এই চার দেশ মিলে গঠিত I2U2 গোষ্ঠীর শীর্ষ বৈঠকে এমনটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়া এবং মধ্য-প্রাচ্যে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই ফুড পার্কগুলো বড় ভূমিকা নেবে বলেই ভারত ও আমিরশাহির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এই শীর্ষ বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে যোগদান করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইজরায়েলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ। আর, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রতিনিধিত্ব করেছেন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। বৈঠকে স্থির হয়েছে, ফুড পার্কের জমিগুলো কেন্দ্রীয় সরকার দেবে। ফুড পার্ক তৈরির জন্য কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ করার দায়িত্বও নেবে কেন্দ্রীয় সরকার।
বৈঠকে খাদ্য সংকট দূর করা এবং বিশুদ্ধ শক্তির বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কোন অভিনব পদ্ধতিতে দীর্ঘস্থায়ীভাবে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য উৎপাদন করা যায়, খাদ্য জোগান দেওয়া যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে এই শীর্ষ বৈঠকে। সম্প্রতি, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার জেরে বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তা এবং শক্তিক্ষেত্র রীতিমতো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন- এফআইআর খারিজের আবেদন, এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মহম্মদ জুবের
জ্বালানির উৎপাদন বিপর্যস্ত হওয়ায়, তার প্রভাব পড়েছে গোটা বিশ্বে। পাশাপাশি, ইউক্রেনের অঞ্চল গোটা ইউরোপের খাদ্যভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত। সেই ইউক্রেনে হামলা হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইউরোপের খাদ্য নিরাপত্তা। যার সামগ্রিক প্রভাব পড়েছে গোটা বিশ্বে। সেই কারণেই এবারের বৈঠকে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টিতে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বের মধ্যে অপ্রচলিত এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছে। সেই কথা মাথায় রেখে ভারতে ফুড পার্কি তৈরির পাশাপাশি, অপ্রচলিত শক্তি উৎপাদনেও জোর দেবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। জলবায়ু এবং আবহাওয়ার কোনওরকম পরিস্থিতিতেই যাতে খাদ্য নিরাপত্তা বিঘ্নিত না-হয়, সেভাবেই গড়ে তোলা হবে ফুড পার্কগুলো। পাশাপাশি, স্বচ্ছ জল সংরক্ষণ, পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে জোর দেওয়া, খাদ্যের বর্জ্য হয়ে ওঠা এবং পচন ঠেকাতেও ভারতকে সাহায্য করবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি।
Read full story in English