ইউএপিএ (নিবর্তনমূলক) সংশোধনী বিল ২০১৯ পাশ হয়ে গেল রাজ্য সভায়। পক্ষে ভোট পড়েছে ১৪৭টি ও বিপক্ষে ভোট পড়েছে ৪২টি। বিরোধীরা এ বিল সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবি তুলেছিলেন।
বিল নিয়ে আলোচনার সময়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, সন্ত্রাসবাদের কোনও ধর্ম নেই। হাউসের সমস্ত সদস্যদের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোরতর এই আইনের সমর্থন করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। কোনও রকম মানবাধিকার যে লঙ্ঘিত হবে না সে কথা বলে অমিত শাহের দাবি এই সংশোধনীতে চতুর্স্তরীয় নিরাপত্তা বলয় রাখা হয়েছে।
এরই মধ্যে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম অভিযোগ করেন, সরকার যে যুক্তিতে এই সংশোধনী আনতে চাইছে তা ইতিমধ্যেই এই আইনে রয়েছে।
চিদাম্বরমের অভিযোগ এই আইনের বলে সরকার যাকে সন্ত্রাসবাদে যুক্ত বলে মনে করবে তার নাম দিয়ে দেবে। রাজ্যসভায় তিনি বলেন, "যদি কেন্দ্রীয় সরকার বিশ্বাস করে যে কোনও ব্যক্তি সন্ত্রাসবাদে যুক্ত, তার নাম দিয়ে দেওয়া হবে। কোনও এফআইআর নেই, কোনও চার্জশিট নেই, কোনও চার্জগঠন নেই, আদালতে কোনও বিচার নেই, কোনও শাস্তি ঘোষণা নেই। ব্যক্তিবিশেষে নাম দেওয়ার ভিত্তি কী? শুধু আপনাদের বিশ্বাস।"
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী এই বিল সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়ে বলেন, এ বিল পাশ হলে ব্যক্তিমানুষের ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চিদাম্বরমের উৎকণ্ঠার উত্তরে অমিত শাহ বলেন, এনআইএ-তে নথিবদ্ধ ২৭৮টি সন্ত্রাসের মামলার মধ্যে ২০৪টিতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। ৫৪টির মধ্যে ৪৮টিতে শাস্তি ঘোষণা হয়েছে। তিনি বলেন সন্ত্রাসের মামলায় শাস্তিঘোষণার ক্ষেত্রে এনআইএ-র ভূমিকা আশাতীত রকমের ভাল।
রাজ্যসভায় অমিত শাহ বলেন, যদি কোনও ব্যক্তি সন্ত্রাসমূলক কাজকর্ম করে থাকে, বা তার প্রস্তুতিতে যোগদান করে বা তাতে ইন্ধন দিয়ে থাকে, তাহলে সেই ব্যক্তিকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে ঘোষণা করা হতে পারে।
ইউএপিএ বিল ব্যক্তিবিশেষকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে চিহ্নিত করতে পারে। ২৪ জুলাই লোকসভা বর্তমান আইন বদল করার ব্যপারে সম্মতি দেয়। কিন্তু বিরোধী দল ও নাগরিক অধিকারের আইনজীবীরা বলছেন, এই বিলের মাধ্যমে সরকারবিরোধীদের টার্গেট করা হতে পারে এবং নাগরিক অধিকার সংকুচিত করা হতে পারে।
Read the Story in English