/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/04/m.jpg)
মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। শুক্রবারই নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭,৮২৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ২১২ জনের। গত বছর মহামারী ঘোষণার পর থেকে একদিনে কোরনাই এই বৃদ্ধি সর্বাধিক। সংক্রমণ রোধে তাই কী তাহলে ফের মহারাষ্ট্রে জারি হতে পারে লকডাউন? সেই সম্ভাবনাই ক্রমশ প্রকট হচ্ছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী এখনও লকডাউন ঘোষণা করেননি। শুধু সতর্ক করেছেন রাজ্যবাসীকে। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে শনিবার বৈঠক করার কথা জানিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। আগামী দু'দিনের মধ্যেই স্থির হবে করোনা রোধে আরব সাগরের তীরের রাজ্যে ফের লকডাউন লাগুর বিষয়টি।
করোনায় মহারাষ্ট্রে মোট আক্রান্তের হার ২৯.০৪ লক্ষ। এর মধ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩.৮৯ শতাংশ। ১৫ মার্চ থেকে করোনার বৃদ্ধির হার তিমগুণ বেড়েছে। মৃত্যুর হার প্রায় ২ শতাংশ ছুঁয়ে ফেলার পথে। শুধুমাত্র মুম্বাইতেই আক্রান্ত হয়েছেন ৮.৮৮৪ জন। মোট সংক্রমিত ৪.৩২ লক্ষ্য। মুম্বাইয়ে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ৫৭, ৬৮৭।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রের বড় বেশ কয়েকটি রাজ্যে নাইট কার্ফু চালু হয়েছে। সন্ধ্য়া ৬টা থেকে রাত ৬টা পর্যন্ত জরুরি পরিষেবা ছাড়া সিনেমা হল, রেস্তোরাঁ, শপিং মল বন্ধের রাখার নির্দেশ দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। ফের সম্পূর্ণ লকডাউন এড়াতে স্বাস্থবিধি মেনে চলার জন্য রাজ্যের সব প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার গভীর রাতে টুইটে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বার্তা, 'ঘোষমা না করলেও আমি রাজ্যে সম্পূর্ণ লকৃডাউন নিয়ে সকলকে সতর্ক করছি। আগামী দু'দিন আমি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করবো। বিকল্প না থাকলে লকডাউনের পথেই হাঁটতে হতে পারে।' করোনা চেন ভাঙতে রাজ্যবাসীকে বারংবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, দূরত্ববিধি বজায় রাখা, মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
CM Uddhav Balasaheb Thackeray’s address to state today;
I got several calls today asking me if a lockdown will be imposed from midnight.
Firstly, I am not here to scare you. I am going to lay the present situation in front of you.— CMO Maharashtra (@CMOMaharashtra) April 2, 2021
সাধারণ মানুষের জীবীকা ও রাজ্যের অর্থনীতির কথা বিবেচনা করে বিরোধী দল ও বেশ শিল্পপতিদের একাংশ মহারাষ্ট্রে লকডাউন জারির বিরুদ্ধে সরব। যার প্রতিবাদ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে। তাঁর কথায়, 'যাঁরা রাস্তায় নামবেন বলছেন তাদের অবশ্যই রাস্তায় নামা উচিত। তবে লকডাউনের বিরুদ্ধে নয়, বরং লকডাউন এড়াতে, চিকিৎসকদের সহায়তা করার জন্য, যাঁদের জীবীকা প্রশ্নের মুখে তাঁদের পরিবারকে সহায়তার জন্য, সংক্রামিতদের সেবা করতে এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রশাসনকে সাহায্য়ের জন্য।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন