পাকিস্তানে খুন লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ জঙ্গি। উধমপুর হামলার 'মাস্টারমাইন্ড' আদনান আহমেদ ওরফে হানজালা আদনানকে বাড়ির খুব কাছেই গুলি করে খুন করে অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকধারীরা।
সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার অন্যতম শীর্ষ জঙ্গি তথা ২০১৫ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরে বিএসএফ কনভয়ের উপর হামলার মাস্টারমাইণ্ড আদনান আহমেদ ওরফে হানজালা আদনান বাড়ির বাইরে গুলিতে নিহত হয়েছেন। খবরে বলা হয়েছে, অজ্ঞাত পরিচয়ের আততায়ীরা তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, হানজালা আদনানকে ২-৩ ডিসেম্বরের মধ্যবর্তী রাতে গুলি করে খুন করা হয়। তাকে লক্ষ্য করে মোট চারটি গুলি ছোঁড়া হয়। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। আদনানকে 26/11 মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড লস্কর প্রধান হাফিজ সইদের খুব কাছের বলেই মনে করা হয়।
আদনানকে তার বাড়ির বাইরে গুলি করা হয়েছিল, তারপরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাকে গোপনে করাচির একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। যেখানে তিনি ৫ ডিসেম্বর মারা যান। উল্লেখ্য, উধমপুরে বিএসএফ কনভয়ে লস্কর সন্ত্রাসীদের হামলায় দুই সেনা জওয়ান শহীদ হন। এ সময় ১৩ বিএসএফ জওয়ান আহত হন। এছাড়াও, পরের বছর ২১৬ সালে, হানজালা সিআরপিএফ কনভয় লক্ষ্য করে হামলা চালায় যাতে ৮ জন সেনা শহীদ হয়েছিল। এই ভয়ঙ্কর জঙ্গি পুলওয়ামা হামলায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল বলেই গোয়েন্দা সূত্রে খবর।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানে অনেক জঙ্গিকেই গুলি করে মারছেন অজ্ঞাতপরিচয় হামলাকারীরা। এর আগে মুফতি কায়সার ফারুক, খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী পরমজিৎ সিং পাঞ্জওয়াদ, এজাজ আহমেদ আহাঙ্গার, বশির আহমেদ পিয়ারের মতো জঙ্গিদের হত্যা করা হয়। মাত্র এক দিন আগে, 26/11 মুম্বাই হামলার পরিকল্পনায় জড়িত লস্কর-ই-তৈয়বার জঙ্গি সাজিদ মীরকে পাকিস্তানের জেলে বিষ খাওয়ানো হয়েছিল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাজিদ মীরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।