করোনার ভারতীয় যে রূপটি রয়েছে তা ইতিমধ্যেই বিশ্বের নানা দেশে ছেয়ে গিয়েছে। সংক্রমক এই প্রজাতি থেকে সুরক্ষিত থাকতে টিকার দুটি ডোজ নেওয়া আবশ্যক। ব্রিটেনের হেলথ এবং সোশাল কেয়ার দফতর থেকে জানান হয়েছে করোনার এই প্রজাতি B.1.617.2 ভারতে চিহ্নিত ভাইরাস। শনিবার ফিনান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে এমনটাই প্রকাশিত হয়েছে।
সেখানে ভারতে জনস্বাস্থ্যের চ্যালেঞ্জকেও তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে। ভারতে ভ্যাকসিনের তীব্র ঘাটতির কথাও বলা হয়েছে সেখানে। চলতি বছরে টিকাকরণ শুরু হলেও ভারতের প্রায় মোট জনসংখ্যার প্রায় তিন শতাংশ - প্রায় ৪৩.০৫ মিলিয়ন মানুষ কোভিড -১৯ টি ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ পেয়েছেন।
যদিও ব্রিটেনের স্বাস্থ্য দফতর অবশ্য ভ্যাকসিন সরবরাহের দিকে বিশেষ নজর রেখেছে। অস্ট্রফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাস্ট্রাজেনেকা দ্বারা এবং অন্যটি মার্কিন বায়োটেক সংস্থা বায়োনেটেক-এর ইউএস ফার্মা জায়ান্ট ফাইজার টিকা দেওয়া হচ্ছে সে দেশে।
ব্রিটেনের এজেন্সি জানিয়েছে যে B.1.617.2 প্রজাতির বিরুদ্ধে টিকা ৮১ শতাংশ কার্যকরী। বেশ কয়েকদিন আগে এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্রিটেনের (Britain) প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, করোনার B1.617.2 ভ্যারিয়েন্ট অত্যন্ত সংক্রামক।টিকাকরণের দু’টি ডোজের মধ্যেকার ব্যবধান কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এতদিন যাবৎ কোভিড ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের মধ্যে ব্রিটেনে ১২ সপ্তাহ ব্যবধান রাখা হচ্ছিল। এবার সেই ব্যবধান কমিয়ে ৮ সপ্তাহ করা হল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন