/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/11/Nirav-Modi.jpg)
অভিযুক্ত নীরব মোদী
লন্ডন হাইকোর্ট বুধবার পলাতক হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদীর আবেদন খারিজ করেছে। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক (পিএনবি)-এর ঋণ কেলেঙ্কারি মামলায় আনুমানিক ২০০ কোটি মার্কিন ডলার জালিয়াতি এবং অর্থপাচারের অভিযোগের মুখোমুখি হওয়ার জন্য তাঁকে ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ দিয়েছে ব্রিটিশ হাইকোর্ট। এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। এর ফলে আইনি ক্ষেত্রে রীতিমতো বড় ধাক্কা খেলেন নীরব মোদী।
আরও পড়ুন- এবার বাংলার পথে কেরল, রাজ্যপালকে আচার্যের পদ থেকে সরাতে আসছে অর্ডিন্যান্স
#BREAKING | Setback for Nirav Modi as UK High Court orders his extradition to India to face fraud chargeshttps://t.co/oGOKKnXT6R
— The Indian Express (@IndianExpress) November 9, 2022
এই নির্দেশ পাওয়ার পরই নীরব মোদীকে ভারতে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে নয়াদিল্লি। এই পলাতক অভিযুক্তকে ১৩,৫০০ কোটি টাকার পিএনবি জালিয়াতির মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। যেখানে দাবি করা হয়েছে যে নীরব মোদীর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সংস্থাগুলো প্রতারণামূলক চিঠিপত্রের সাহায্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের থেকে লাভবান হয়েছিল।
লন্ডন হাইকোর্টের বিচারপতি লর্ড বিচারপতি জেরেমি স্টুয়ার্ট-স্মিথ ও বিচারপতি রবার্ট জে এই রায় দিয়েছেন। চলতি বছরের গোড়ায় শুনানির আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এই রায় দিয়েছে।
নীরব মোদী বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনের ওয়ান্ডসওয়ার্থ কারাগারে রয়েছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে তার প্রত্যর্পণের জন্য জেলা জজ স্যাম গুজির ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি দিয়েছিলেন। ৫১ বছর বয়সি নীরব মোদী তার মানসিক স্বাস্থ্যের কারণে ভারতে প্রত্যর্পণের বিরোধিতা করেছে।
আদালত নীরব মোদীর আবেদন দুটি কারণে মঞ্জুর করেছিল। তার মধ্যে প্রথমটি হল- ইউরোপিয়ান কনভেনশন অফ হিউম্যান রাইটস (ইসিএইচআর)-এর অনুচ্ছেদ ৩-এর অধীনে মোদীকে তার মানসিক অবস্থার কারণে হস্তান্তর করা 'অন্যায় বা নিপীড়ণ' কি না, তা বিচারের জন্য। আর, ধারা ৯১-এর অধীনে নীরব মোদীর বক্তব্য শোনার জন্য। উল্লেখ্য যে প্রত্যর্পণ আইন, ২০০৩ মানসিক অসুস্থতার সঙ্গেও সম্পর্কিত। এই আইনে মানসিকভাবে অসুস্থ কোনও ব্যক্তির প্রত্যর্পণ আইন বিরুদ্ধ।
Read full story in English