ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে দুই প্রার্থীর মধ্যে তিনি একজন। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আশা ছাড়তে নারাজ প্রাক্তন ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক। শনিবার সেকথাই তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। তবে, একইসঙ্গে জানিয়েছেন, এই লড়াইয়ে তিনি পিছিয়ে আছেন। সুনাকের কথায়, 'আমি আন্ডারডগ।'
সুনাকের পদত্যাগ বরিস জনসনের নেতৃত্বাধীন সরকারে এক বিদ্রোহের সূত্রপাত করেছিল। হাজারো কেলেঙ্কারির পরও বরিস পদত্যাগ করতে রাজি হননি। কিন্তু, সুনাকের পদত্যাগের পরই যেভাবে তাঁর বাকি সঙ্গীরা পদত্যাগের পথে হেঁটেছেন, তাতে পদত্যাগ ছাড়া বরিসের সামনে বিকল্প ছিল না।
৫ সেপ্টেম্বর ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন। তার আগে টানা এক সপ্তাহ ধরে চলবে ভোটগ্রহণ। ঋষি সুনাকের বিপরীতে প্রার্থী লিজ ট্রাস। ব্রিটেনের বিদেশসচিব লিজ। তিনি না ঋষি কে হবেন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা, তা দলের ২ লক্ষ সদস্য ভোটদানের মাধ্যমে ঠিক করবেন।
আরও পড়ুন- ভরণপোষণের ব্যাপার: কন্যারা বোঝা নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট
তবে, এখনও পর্যন্ত লিজকে জনপ্রতিনিধিদের ভোটে টেক্কা দিয়ে গিয়েছেন ঋষি সুনাক। কিন্তু, বৃহস্পতিবার প্রকাশিত কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের YouGov সমীক্ষায় সুনাকের চেয়ে ট্রাস ২৪ পয়েন্ট বেশি পেয়েছেন। তারপরই শনিবার সুনাক বক্তব্য রাখেন মধ্য ইংল্যান্ডের গ্রান্থামে। ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের জন্মস্থান গ্রান্থাম। সেখানে তিনি পিছিয়ে থাকার কথা স্বীকার করে নেন। সুনাক বলেন, 'এনিয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে আমি আন্ডারডগ।'
ট্রাস জিতলে ব্রিটেনের তৃতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী হবেন। তাঁর আগে মার্গারেট থ্যাচার এবং থেরেসা মে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। আর, সুনাক জিতলে ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে প্রথম কোনও ব্যক্তি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হবেন। এই প্রসঙ্গে সুনাক জানান, পিছিয়ে থাকলেও তাঁর ধারণা কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা এখনও মনস্থির করেননি। তাঁরা এখনও প্রার্থীদের বক্তব্য শুনতে চান। তার পরই মনস্থির করবেন। প্রতিপক্ষ লিজ ট্রাস কর কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অন্যদিকে সুনাক অর্থমন্ত্রী হিসেবে কর বাড়িয়ে দিয়েছেন। তারপরও শনিবার তিনি জানান, এই সময়ে প্রতিরক্ষা ব্যয় এবং শক্তির ক্ষেত্রে নজর দেওয়া উচিত। বদলে, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কর কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন।
Read full story in English