শেষ পর্যন্ত সুর নরম করলেন বরিস জনসন। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে রাজি হলেন বরিস জনসন। প্রধানমন্ত্রীর অফিস তরফে খবর, পদত্যাগের কথা নিজেমুখেই দেশবাসীকে জানাবেন জনসন।
শুধু প্রধানমন্ত্রী পদ থেকেই নয়, বরিস জনসন এ দিন কনজারভেটিভ পার্টির নেতার পদ থেকেও পদত্যাগ করবেন বলে সূত্রের খবর।
করোনা অতিমারীরর সময় পার্টি গেট দুর্নীতি থেকেই বিতর্কে জর্জরিত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। এরপর ২০২০-র জুনেই কনজারভেটিভ পার্টির ৫৪ জন সাংসদ প্রদানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই ব্রিটিশ পার্লামেন্টে অনাস্থা এনেছিলেন। তবে সেই আস্থা ভোটে জিতে যান বরিস জনসন। সেযাত্রায় কুর্সি বাঁচান তিনি।
তবে গত ২৪ ঘণ্টায় জনসনের মন্ত্রিসভা থেকে ৪ জন মন্ত্রীর পদত্যাগ জনসনকে বড় ধাক্কা দিয়েছে। তারপরও ইস্তফা না দেওয়ার ব্যাপারে অনড় ছিলেন বরিস। কিন্তু, ক্রমশ চাপ বাড়ছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের উপর। শেষ পর্যন্ত বিকল্প না দেখে অনড় অবস্থান থেকে সরলেন। প্রধামন্ত্রী পদ ছাড়তে রাজি তিনি।
বরিস জনসনের বিরুদ্ধে মিত্য়াচারের অভিযোগে এনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক প্রথন ইস্তফা দেন। একই পথের পথিক হন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। পদত্যাগের তালিকায় যোগ দেন সেদেশের শিশু ও পরিবার বিষয়ক মন্ত্রী উইল কুইন্স এবং পরিবহণমন্ত্রী লরা ট্রট। ফলে জনসন সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রস্ন ওঠে। তারপরই ইস্তফার ইচ্ছা প্রখাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী।